بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জার্মানি জলসা ২০২৩: উন্নতির জন্য পর্যালোচনা এবং নির্দেশিকা
ফ্রাঙ্কফোর্ট, জার্মানী
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামা‘তের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বায়তুস সুবুহ্ মসজিদে “জার্মানি জলসা ২০২৩: শতবর্ষ উদযাপনের সেরা উপায়” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সম্প্রতি সেখানে অনুষ্ঠিত বার্ষিক জলসা অভাবনীয় সাফল্যের কারণে খোদা তা’লা ও কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কিছু বিষয়ে আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর জলসায় যোগদানকারী অতিথিদের কতিপয় ইতিবাচক অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।


    তাশাহ্‌হুদ, তা’আউয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লার অশেষ কৃপা যে, গত সপ্তাহে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত জার্মানির বার্ষিক জলসা অত্যন্ত সফলতার সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একারণে সর্বপ্রথম আমাদের খোদা তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত যে, তিনি আমাদেরকে কয়েক বছর বিরতির পর এত বিশাল পরিসরে জলসা করার তৌফিক দিয়েছেন। ব্যবস্থাপনা এবং জলসায় যোগদানকারীদেরও আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কর্মীদেরও খোদা তা’লার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত যে, আল্লাহ্ তা’লা তাদেরকে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর অতিথিদের সেবা করার তৌফিক দিয়েছেন। এই বিশাল আয়োজনে কোনো কোনো বিভাগে কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে। অনেক অতিথিরও কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে, কিন্তু যেহেতু তারা ধর্মীয় উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এসেছেন তাই তারা কোনো ধরণের অভিযোগ করেন নি। তবে আমি জানতে পেরেছি, কোনো কোনো বিভাগের ব্যবস্থাপনা সঠিক ছিল না। কর্মীরা তো অনেক পরিশ্রমের সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে, কিন্তু যাদের বা যেসব বিভাগে কোনো দুর্বলতা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে সেসব বিভাগের অফিসারদের ভুল নির্দেশনার কারণে এমনটি হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে অতিথিদের কষ্ট হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে উক্ত বিভাগের কর্মকর্তারা দায়ী হবেন। তাই তাদের এস্তেগফার করা উচিত এবং ভবিষ্যতের জন্য লাল খাতায় লিখে এসব বিষয় সংশোধনের জন্য চেষ্টা করা উচিত।


    হুযূর (আই.) আরো বিস্তারিত বলেন, চলন্ত সিঁড়ি এবং লিফট সঠিকভাবে কাজ করছিল না, গোসল খানার সংখ্যা অনেক কম ছিল, পানির সুব্যবস্থা ছিল না, সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা কর্মীরা বিনা কারণে মানুষকে আটকে দিচ্ছিল, অনুবাদ শ্রবণে এবং সাউন্ড সিস্টেমেও সমস্যা হয়েছে। কতক অতিথি এ অভিযোগও করেছেন যে, আমরা খুতবাও ভালোভাবে শুনতে পারি নি। জলসার সময়ও আমি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। অফিসার জলসা সালানা, অফিসার জলসা গাহ্ এবং সাউন্ড সিস্টেম বিভাগের ইনচার্জ এসব সমস্যার জন্য দায়ী, কেননা লোকেরা এখানে জলসা শুনতে আসেন; যদি শোনানোর ব্যবস্থা সঠিক না থাকে তাহলে জলসা আয়োজন করে কি লাভ? অন্যান্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ত্রুটি সহ্য করা যায়, কিন্তু জলসা শ্রবণের ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি সহ্য করা যায় না। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেন, এটি কোনো জাগতিক সমাবেশ নয় যে, লোকেরা এখানে এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হবে। শব্দ না পৌঁছানোর কারণে পেছনের কোনো কোনো স্থানে মেলার ন্যায় অবস্থা সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। আমার ধারণা অনুযায়ী কমপক্ষে সাত আট হাজার লোক এমন থাকবে যারা জলসা ঠিকভাবে জলসা শুনতে পারেন নি। ব্যবস্থাপকরা অংশগ্রহণকারীদের দোষী সাব্যস্ত করছে। অথচ যদি লোকেরা কথা বলে থাকে তাহলে এটি তরবীয়ত বিভাগের দুর্বলতা এবং মিশনারী ইনচার্জ ও মুরুব্বীরা এজন্য দায়ী যে, কেন সারা বছর তাদের তরবীয়ত করা হয়নি। সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করবেন না। আহমদীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করানো হলে সাধারণত ইতিবাচক ব্যবহারিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।


    হুযূর (আই.) বলেন, উন্নয়নশীল জাতি নিজেদের দুর্বলতাগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেয়, আর তাই তারা সফলতা লাভ করে। সবকিছু ঠিক আছে মনে করে উন্নতির দ্বার রুদ্ধ করে দিবেন না। আল্লাহ্ তা’লা সমস্ত বিভাগের অফিসারদের নিজেদের সংশোধনের তৌফিক দিন। এসব দুর্বলতা সত্ত্বেও আমাদের প্রতি আল্লাহ্ তা’লার কৃপা হলো, তিনি আমাদের দুর্বলতাগুলোকে ঢেকে রেখেছেন এবং জলসায় আগত অতিথিরা সাধারণত ইতিবাচক প্রভাব গ্রহণ করেছেন। অতিথিরা অসাধারণ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। জার্মানি জামাতের অধিক হারে আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত যে, তিনি জলসার মাধ্যমে আমাদেরকে লোকদের কাছে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা উপস্থাপনের তৌফিক দিয়েছেন।


    এরপর হুযূর (আই.) জলসায় যোগদানকারী অতিথিদের বিভিন্ন ইতিবাচক অভিব্যক্তি তুলে ধরেন। বুলগেরিয়ার এক খ্রিষ্টান ভদ্রমহিলা ড. ভেরোনিকা স্তোইলোভা সাহেবা যিনি পেশায় একজন উকিল এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী তিনি বলেন, এত চমৎকার জলসার আয়োজন করা হয়েছে যাতে কারো চেহারায় কোনো দুশ্চিন্তা এবং ভীতি দেখিনি। এই অনুষ্ঠান আমাকে আধ্যাত্মিকভাবে সক্রিয় করেছে।


    বুলগেরিয়ার আরেকজন খ্রিষ্টান ভদ্রমহিলা নাতালিয়া সাহেবা বলেন, এই জলসার চিত্র আমার মস্তিস্কে সংরক্ষিত থাকবে। আমি প্রথমবার সহস্র মুসলমানকে একত্রে ইবাদত করতে দেখেছি। সমস্ত লোক হাসিমুখে একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করছে। এছাড়া যুগ-খলীফার বক্তৃতা অত্যন্ত প্রভাবসঞ্চারী ছিল।


    মেসিডোনিয়ার এক খ্রিষ্টান সাংবাদিক লিওবেক আয়াত ভিসকা সাহেবা বলেন, জলসার ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নতমানের ছিল। আমার জন্য এটি অত্যন্ত সম্মানের বিষয় যে, আমি এমন এক জলসায় অংশগ্রহণ করেছি যেখানে বিভিন্ন ধর্মের এবং জাতির মানুষ অংশ নিয়েছে।


    মেসিডোনিয়ার আরেকজন সাংবাদিক সিনাভোর সিমোভ সাহেব বলেন, যুগ খলীফার বিভিন্ন বক্তব্য আমাকে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত করেছে। অনেক আহমদী মুসলমানের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। প্রত্যেকে অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে এবং হাসি মুখে কথা বলেছেন। ভালোবাসা সবার তরে, ঘৃণা নয়কো কারো পরে এর ব্যবহারিক দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করেছি আর এই ব্রতের মাধ্যমেই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।


    স্লোভাকিয়া থেকে আগত এক মহিলা মার্টিনা সাহেবা যিনি শিক্ষকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, তিনি বলেন, জলসার পূর্বে ইসলাম সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। জলসায় অংশগ্রহণ করে আমি আল্লাহ্ তা’লা এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মর্যাদা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আহমদীরা খুবই আন্তরিকতা এবং উদ্দীপনার সাথে অতিথিদের সেবা করেছে।


    আলবেনিয়ার প্রফেসর ড. জিপ শুকুরতী সাহেব নামে একজন অতিথি যিনি তিরানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ ন্যাচারাল সায়েন্স-এর অধ্যাপক, তিনি নিজ সহধর্মিনীকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এ জলসা এক মহান সমাবেশ ছিল। জলসা অনেক উন্নত মানের ছিল। এই জলসায় দেখেছি যে, খিলাফতই আপনাদের ঐক্যের ভিত্তি।


    বসনিয়ার ইতিহাস বিভাগের একজন প্রফেসর হারেস সাহেব বলেন, জলসার সকল বিষয় উত্তমরূপে পরিকল্পিত ছিল। অনেক ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল। যুগ-খলীফার প্রথম বক্তৃতার পরই আমার ধারণা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। তাঁর সাথে সাক্ষাতের ফলে আমার মস্তিষ্কে গভীর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং আমি অসাধারণ প্রশান্তি লাভ করেছি।


    হুযূর (আই.) বলেন, জলসা সালানাতে অংশগ্রহণকারী কিছু আরব বন্ধুর ঘটনা এবং অভিব্যক্তিও আছে। একজন অতিথির নাম হলো মুহাম্মদ আলী সাহেব আর তিনি সিরিয়ার অধিবাসী। তিনি বলেন, আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে আহমদীয়াত সম্পর্কে জানতে পারি। আমার বন্ধু আমাকে জলসায় নিয়ে এসেছে আর আমার ইচ্ছা ছিল, দিন শেষে সন্ধ্যা নাগাদ বাসায় ফেরত চলে আসব আর বাসাও কাছেই ছিল কেননা এখানকার জায়গা আরামপ্রদ ছিল না। কিন্তু আমি যখন জলসার পরিবেশ আর ব্যবস্থাপনা দেখলাম, প্রত্যেকের হাস্যজ্জল চেহারা এবং সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে যেন একে অপরের কতদিনের পরিচিত। এমন পরিবেশ আমি আমার জীবনে কখনো দেখি নি। তখন আমি আমার ইচ্ছা পরিবর্তন করলাম আর ভাবলাম এখানে জলসাস্থলে মেঝেতেই শুয়ে পড়ব আর নিচে কোনো ম্যাট্রেস আছে কি নেই সেটাও কোনো ব্যাপার না! জলসার দ্বিতীয় দিন আহমদীয়াতের সত্যতা আমার হৃদয়ে গেঁথে যায় এবং আমি বয়আত করার ইচ্ছা পোষণ করি আর আল্লাহ্ তা’লা আমাকে এর তৌফিকও দিয়েছেন।


    আব্দুর রহমান ইসমাঈল সাহেব লিখেন, আমি জলসা সালানাতে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছি। পৃথিবীতে এমন কোনো দল নাই যারা এমন কাজ করে থাকে। গোটা দুনিয়া থেকে মানুষ এখানে অংশগ্রহণ করছিল, কিন্তু কোনো লড়াই-ঝগড়া দেখতে পাইনি। পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা, হৃদ্যতা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের উত্তম দৃষ্টান্ত দেখতে পেয়েছি।


    আব্দুল্লাহ ইজ্জত আকিলী সাহেব মিশর থেকে এসেছিলেন। তিনি বর্তমানে ফ্রান্সে থাকেন আর সেখানে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স করছেন। তিনি বলেন, পদার্থবিদ্যায় প্রত্যেক বিষয়কে সন্দেহের চোখে দেখা হয় আর এ কারণে সবকিছুতেই সন্দেহ করা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আমি অনেক আগেই বয়আত করেছিলাম এবং জামা’ত এবং খিলাফতের সাথে সম্পর্কও ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সাথে জামা’ত সম্পর্কেও আমার মাঝে সন্দেহ দানা বাঁধতে আরম্ভ করেছিল যার কারণে আমি জামা’ত থেকে দুরে সরে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, এ বছর জলসা সালানা জার্মানিতে অংশ নিতে আসি কিন্তু রেজিস্টেশনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছিল। এই বিলম্বতাই আমার উপকারে আসে আর তা এমন ভাবে যে, যখন আমি জলসাগাহে পৌঁছাই তখন খুতবা শুরু হয়ে গিয়েছিল আর যখন আমি জলসা গাহে প্রবেশ করি সেই মুহূর্তে খুতবার যে কথাগুলো আমার কানে প্রবেশ করেছিল তা হলো, যদি মানুষ প্রত্যেক বিষয়েই কুধারণা করতে আরম্ভ করে তাহলে এক মুহূর্তও এই পৃথিবীতে অতিবাহিত করা তার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। এটি হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর উদ্ধৃতির আলোকে বর্ণনা করা হচ্ছিল। সে পানিও পান করতে পারবে না, এই ভেবে যে হয়ত তাতে বিষ মেশানো আছে। বাজারের কোনো কিছুই খেতে পারবে না হয়ত তাতে ক্ষতিকারক কিছু থেকে থাকবে। তাহলে সে কীভাবে জীবিত থাকবে? তিনি বলেন, একথাগুলো শোনার সাথে সাথেই আমি ভেতর থেকে কেঁপে উঠি। এমন মনে হলো যে, এই মুহূর্তে জলসা গাহে আমার উপস্থিত হওয়া হয়ত খোদা তা’লা পূর্বেই আমার নিয়তিতে লিখে রেখেছিলেন কেননা প্রথম বাক্যই আমার ব্যধির চিকিৎসাপত্র ছিল আর মনে হচ্ছিল এসব কথা আমাকে সম্বোধন করেই বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটি কোনো কাকতালীয় বিষয় হতেই পারে না, যা আমার হৃদয়ে গভীরভাবে দাগ কেঁটেছে আর খোদার কৃপায় আমার ভেতরের সন্দেহপ্রবণতাও দূরীভূত হয়েছে।


    এ ধরণের বেশ কিছু অভিব্যক্তি উল্লেখ করার পর পরিশেষে হুযূর (আই.) এ জলসার মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে বলেন, রিপোর্ট অনুযায়ী ৪টি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে ৪১ মিলিয়ন, ১১টি পত্রিকার মাধ্যমে ৫০মিলিয়ন, ৫টি রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে ১৪মিলিয়ন এবং অনলাইনের মাধ্যমে ২মিলিয়ন মানুষের কাছে আহমদীয়াতের সংবাদ পৌঁছেছে। এভাবে প্রায় ১০৮ মিলিয়ন মানুষের কাছে জলসার কভারেজ পৌঁছেছে। আল্লাহ্ তা’লা সার্বিকভাবে এর উত্তম ফলাফল সৃষ্টি করুন। বিভিন্ন মসজিদ উদ্বোধনের সময়ও অতিথিরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অতিথিদের কাছ থেকে এ অভিযোগও এসেছে যে, আমাদের পরিচিত আহমদীরা তো আমাদেরকে ইসলামের এত চমৎকার শিক্ষা সম্পর্কে পূর্বে অবগত করেন নি। অতএব প্রত্যেক আহমদীর দ্বিধাহীনভাবে ইসলাম এবং আহমদীয়াতের পরিচিতি তুলে ধরা উচিত। শুধুমাত্র লিফলেট বিতরণ করার মাধ্যমে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় না। তাই সর্বত্র আমাদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। দুর্বলতাগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত। উন্নতির অনেক সুযোগ রয়েছে। দোয়া করে এবং আল্লাহ্ তা’লার সাহায্য চেয়ে কাজের সূচনা করুন। ব্যবস্থাপনা এবং অংশগ্রহণকারীদের সর্বদা জলসার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জনকারী হওয়ার পরিপূর্ণ চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ্ তা’লা আমাদের প্রতি দয়া করুন এবং ভবিষ্যতে সবাইকে উত্তমরূপে জলসার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের তৌফিক দিন, আমীন।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা