بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
১১ আগস্ট, ২০২৩
ইসলাম-আহ্‌মদীয়াত: কিছু ঈমান উদ্দীপক ঘটনা
মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, যুক্তরাজ্য
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    নিখিলবিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম ও আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ১১ই আগস্ট, ২০২৩ইং তারিখে ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে “ইসলাম-আহ্‌মদীয়াত: কিছু ঈমান উদ্দীপক ঘটনা” বিষয়ক জুমুআর খুতবা প্রদান করেন। প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় আল্লাহ্ তা’লার অশেষ কৃপায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ কীভাবে আহ্‌মদীয়াত গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কিত কতিপয় ঈমান উদ্দীপক ঘটনা বর্ণনা করেন। খুতবার শেষাংশে হুযূর (আই.) সম্প্রতি প্রয়াত কতিপয় নিষ্ঠাবান আহ্‌মদীর স্মৃতিচারণ করেন ও নামাযান্তে তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ান।


    তাশাহ্‌হুদ, তাআউয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লার প্রতিশ্রুতি অনুসারে মহানবী (সা.)-এর নিষ্ঠাবান দাস প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) এবং তাঁর জামা’তের প্রতি যে কৃপাবারি বর্ষিত হয়ে থাকে সে সম্পর্কিত কিছু ঘটনার উল্লেখ জলসার রিপোর্টে করা হয়ে থাকে, কিন্তু এত সংক্ষিপ্ত সময়ে সবকিছু বর্ণনা করা সম্ভব হয় না। তাই সেসব ঘটনার মধ্য থেকে আজও আমি কিছু ঘটনা বর্ণনা করব যে, কীভাবে আল্লাহ্ তা’লা জামা’তের প্রতি কৃপারাজি বর্ষণ করেন, কীভাবে লোকদের হৃদয় উন্মুক্ত হয় এবং কীভাবে আহমদীদের ঈমান দৃঢ় হয় আর শত্রুর সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। কেননা এসব ঘটনা অনেক আহমদীর হৃদয়ে সুপ্রভাব সৃষ্টি করে এবং ঈমানী দৃঢ়তার কারণ হয়।


    হুযূর (আই.) বলেন, জলসা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে নতুন জামা’ত সৃষ্টি হচ্ছে। কঙ্গো কিনশাসার মিশনারী হামীদ সাহেব লিখেছেন, ‘ভিরা’ শহরে আমাদের যে রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয় সেটি শুনে স্থানীয় ইমাম ঈসা সাহেব আমাদের মসজিদের ইমামের সাথে সাক্ষাৎ করে আহমদীয়া জামা’ত সম্পর্কে জানার পর বয়আত গ্রহণ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার গ্রামে গিয়ে তবলীগ করেন আর তার তবলীগে আরো ২৪জন বয়আত করেন। এরপর জামাতের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে আরো ৮জনকে বয়আত করান। এভাবে সেখানে নতুন একটি জামা’ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অথচ পাকিস্তানে আলেমরা কেবল বিরোধিতাই করতে পারে, তাদের অদৃষ্টে সত্য গ্রহণের সৌভাগ্য নেই।


    কঙ্গো কিনশাসার আরেকটি গ্রাম ‘মাইন দোম্বে’তে জামা’তের মুয়াল্লিম ওমর মনোয়ার সাহেবকে তবলীগের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়। তিনি একটি মসজিদে লিফলেট বিতরণ করেন। কিছু লোক তার বিরোধীতা করে এবং তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে। মুয়াল্লিম সাহেব বৈরী পরিস্থিতি উপেক্ষা করে বাকীদের তবলীগ করেন। সেখানকার লোকজন তার ধৈর্য ও দৃঢ় মনোবল দেখে অভিভূত হন। তারা জামা’ত সম্পর্কে জানতে চায়; এরপর বিভিন্ন প্রশ্নও করে। তিনি তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর প্রদান করেন। এরপর সেখানকার ইমাম সাহেব জামা’তের প্রতিনিধিদের নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেদিন ৪০-৪২জন লোক তাদের তবলীগে প্রভাবিত হয়ে বয়আত গ্রহণ করেন এবং সেখানে নতুন একটি জামা’ত প্রতিষ্ঠিত হয়।


    গিনি বিসাও এর জনৈক ভদ্রলোক বলেন, “আমরা আজ পর্যন্ত একথাই জানতে পেরেছি যে, আপনারা মুহাম্মদ (সা.) এবং কুরআনকে মানেন না”। জলসার অনুষ্ঠান দেখার পর তিনি বলেন, “কিন্তু আপনাদের খলীফা তো আল্লাহ্ তা’লা, মুহাম্মদ (সা.) এবং কুরআনের কথাই বলেছেন। তখন আমি বুঝলাম, জামা’তের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা করা হচ্ছে আর সর্বদা সত্য জামা’তের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারই করা হয়”। এরপর তিনি বয়আত করেন এবং তবলীগ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এখন আল্লাহ্‌র কৃপায় তার প্রচেষ্টায় সেখানে জামা’ত প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। হুযূর (আই.) বলেন, পাকিস্তানে আমাদের বিরুদ্ধবাদী যারা আছে, তারা কেবলমাত্র বিরোধিতার উদ্দেশ্যে বিরোধিতা না করে আমাদের শিক্ষাও শুনুন, পড়ুন এবং অনুধাবনের চেষ্টা করুন। এরপর আপত্তি থাকলে উত্থাপন করুন।


    লাইবেরিয়ার আমীর সাহেব লিখেছেন, দুই বছর পূর্বে ‘নিম্বা’ কাউন্টির কিছু লোক আহমদী হয়েছেন। বয়আতের পর একটি বাড়ির বারন্দায় তাদের নামাযের ব্যবস্থা করা হয়। তারা পূর্বে খ্রিষ্টান ছিল, আহমদী হওয়ার পর তারা মসজিদ নির্মাণের জন্য দোয়া করেন। সেখানে মসজিদ নির্মাণ সহজসাধ্য ছিল না। সেখানকার একজন নাস্তিক ও মদ্যপায়ী আমাদের মুবাল্লিগ সাহেবকে দেখে প্রভাবিত হয় এবং তিনি তার নিজস্ব একটি প্লট মসজিদের জন্য দিয়ে দেন আর কিছুদিন পর বয়আত করে আহমদীয়াত গ্রহণ করেন এবং নিজের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনয়ন করেন। লোকেরা গ্রাম্যপ্রধানকে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সেখানে আমাদের মসজিদ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্।


    বুরুণ্ডির একটি গ্রামে জামা’তের অনেক বিরোধিতা হচ্ছিল। সুন্নি মসজিদের ইমাম জামা’তের মসজিদ বন্ধ করতে সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে শলাপরামর্শ করে, কিন্তু সফল হতে পারেনি। এরপর তারা আমাদের মুয়াল্লিম সাহেবকে ডেকে পাঠায় এবং তার সাথে বাহাস (ধর্মীয় বিতর্ক) শুরু করে। সেখানে হযরত ঈসা (আ.)-এর মৃত্যু সম্পর্কে আলোচনা হয়। আমাদের মুয়াল্লিম সাহেব যখন ঈসা (আ.)-এর মৃত্যুর বিষয়টি প্রমাণ করেন, তখন তারা হট্টগোল শুরু করে ও আহমদীদের কাফির আখ্যা দেয়। সেখানকার একজন ভদ্রলোক জামা’তের বক্তব্যকে সমর্থন করলে তাদের পরস্পরের মাঝে ঝগড়াবিবাদ শুরু হয়ে যায়। এরপর সেখানকার প্রশাসন শাস্তিস্বরূপ তিন মাসের জন্য তাদের মসজিদ বন্ধ করে দেয়। হুযূর (আই.) বলেন, পাকিস্তানে আমাদের বিরুদ্ধে নানারকম প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়। আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। আইনের ছত্রচ্ছায়াত আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। মোল্লারা আমাদের ক্ষতি করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে, কিন্তু ইনশাআল্লাহ্ একদিন তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনবে।


    অতঃপর হুযূর (আই.) বলেন, পাকিস্তানে আমাদেরকে কুরআন পর্যন্ত পড়তে বা শুনতে দেয়া হয় না। অথচ এর বিপরীতে আমরা সারা পৃথিবীতে কুরআন প্রচারের কাজ করছি আর এর মাধ্যমে মানুষ হিদায়াত বা সুপথ লাভ করছে। তাঞ্জানিয়ার একজন মুয়াল্লিম সাহেব বলেন, “ত্রিশ কি. মি. দূর থেকে আমার কাছে একজনের ফোন আসে যে, তিনি পবিত্র কুরআনের সুয়াহেলী ভাষার অনুবাদ ক্রয় করতে চান। তাকে বলা হয়, আপনি তো আপনার এলাকায়ই এটি পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, “জামা’তের অনুবাদ এবং তফসীর আমার পছন্দ আর আমি এটিই নিতে আগ্রহী””।


    গোহাটির বইমেলায় এক ভদ্রলোক জামা’তের বুকস্টলে প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর পুস্তকাবলী দেখতে থাকেন। তিনি বলেন, “আমি এখনো মুসলমান থাকার কারণ হলো তাঁর পুস্তকাবলী”। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে, “আপনি কি আহমদী?” তিনি বলেন, “আমি আহমদী না, আমি নাস্তিক হয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমি এক স্থান থেকে হযরত মির্যা সাহেবের কয়েকটি পুস্তক পাই। এরপর আমি সেগুলো পড়ে আমার ভুল বুঝতে পারি এবং আমার সমস্ত আপত্তির সন্তোষজনক উত্তর পেয়ে যাই। আহমদীয়া জামা’তের কল্যাণেই আমি এখনো মুসলমান আছি”।


    পাশ্চাত্যের যেসব দেশে অর্থাৎ ডেনমার্ক ও সুইডেনে কুরআন অবমাননা করা হচ্ছে, সেসব স্থানে আহমদীয়া জামা’ত কর্তৃক ইসলামের অনিন্দ্য সুন্দর শিক্ষা প্রচারের পর তাদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসছে। তারা কুরআন পাঠের পর কুরআনের প্রশংসা করছে। জামা’তের একটি প্রদর্শনীতে এসে একজন মহিলা বলেন, “ইসলাম চরমপন্থী ধর্ম নয়। আপনাদের জামা’ত ইসলামের শিক্ষামালা সুন্দরভাবে তুলে ধরছে”।


    গোহাটির বইমেলায় আরেকজন আমাদের বুক স্টল দেখে খুবই খুশি হন। তিনি একটি কুরআন হাতে নিয়ে তার সঙ্গীকে বলতে থাকেন, “আমি দীর্ঘদিন যাবত পবিত্র কুরআনের সহজ ও সাবলীল অনুবাদ খুঁজছিলাম। আমার শিক্ষকও এটি খুঁজছিলেন, কিন্তু তিনি আমৃত্যু এটি খুঁজে পাননি। আজ আমি এটি খুঁজে পেয়েছি আর হাজার টাকা মূল্য হলেও আমি এটি কিনে নিব”।


    গিনি বিসাও এর মুবাল্লিগ বলেন, “আমি রেডিও অনুষ্ঠানের চরম প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম, কিন্তু জামা’তীভাবে এর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর সেই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এটি পড়ে এক ভদ্রলোক জামা’ত সম্পর্কে জানতে আসেন এবং বলেন, “আপনারা রেডিওতে আপনাদের বিশ্বাস প্রচার করেন না কেন?” যখন তাকে জানানো হয় যে, জামা’তীভাবে কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না তখন তিনি বলেন, “আমি একটি রেডিও চ্যানেলের ডিরেক্টর; আপনারা আমাদের রেডিওতে অনুষ্ঠান করুন””।


    মালির জনৈক বন্ধু বলেন, “আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি কিন্তু এখানকার লোকেরা বলে, নামায, রোযা পালনের কোনো দরকার নেই। এতে আমি মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছিলাম না। একদিন জামা’তের রেডিওতে খুব সুন্দরভাবে নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়”। তিনি যখন একথা অন্যদেরকে বলেন তখন মানুষ বলতে থাকে যে, তাদেরকে তো আলেমরা অমুসলমান ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই ভদ্রলোকের কাছে জামা’তের সদস্যদের ব্যবহারিক আদর্শ দেখে ভালো লাগে, তাই তিনি আহমদীয়াত গ্রহণ করেন।


    একজন স্প্যানিশ বন্ধু বলেন, “আমার ধারণা ছিল হযরত আলী (রা.)’র পর মুসলমানরা এখন আর ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না” অর্থাৎ একমাত্র খিলাফতের মাধ্যমেই ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব। এখন আর কোথায় খিলাফত! এরপর একদিন তিনি আহমদীয়া জামা’তের খিলাফতের সংবাদ পান। এভাবে তিনি খিলাফতের হাত ধরে আহমদীয়া জামাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন।


    হুযূর (আই.) আরো বলেন, নাইজেরিয়ার এক ব্যক্তি আহমদীয়াত গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেন। পূর্বে তিনি একজন বিরোধী নেতা ছিলেন। আহমদীয়াত গ্রহণের পর তাকে চরম বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়। একদিন তিনি তার জমিতে কাজ করছিলেন, প্রবল ঝড় শুরু হয়। তার বিরোধীদের একথা স্মরণ হয় যে, “তুমি একদিন কাজ থেকে ফিরে এসে দেখবে, তোমার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে”। এরপর তিনি দোয়া করেন, “হে আল্লাহ্ এটি যদি তোমার প্রতিষ্ঠিত জামা’ত হয় এবং প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.) যদি সত্য মাহদী হন তাহলে আমার বাড়িঘরের সুরক্ষা করো”। তিনি বলেন, “আমি ফিরে এসে দেখি, আমার বাড়ি একেবারে সুরক্ষিত আছে অথচ আশেপাশের সমস্ত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন আমার নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মে যে, আহমদীয়া জামা’ত সত্য জামা’ত”।


    বুরকিনা ফাঁসোর এক ওহাবী মোল্লা আমাদের এক আহমদীর বাড়িতে এসে তাকে আহমদীয়াত ছেড়ে দেয়ার কথা বলে। আর যদি সে এমনটি না করে তাহলে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। তিনি আহমদীয়াত ছাড়বেন না বলে স্বীকারোক্তি দেন। সেখানকার স্থানীয়রা তাকে ডোরি চলে আসতে বলে, কিন্তু তিনি আসছিলেন না। এরপর তিনি একটি স্বপ্নে দেখেন যে, তাকে ডোরি আসার প্রতি ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। এরপর তিনি ডোরি চলে আসেন। পরদিন তার স্ত্রীর ফোন আসে যে, সন্ত্রাসীরা এসে তোমাকে খুঁজছিল। এভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।


    হুযূর (আই.) এভাবে আরো বেশ কিছু ঘটনা উল্লেখ করার পর বলেন, সর্বত্র আল্লাহ্ তা’লার সাহায্য ও সমর্থন প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আ.)-এর সাথে আছে, যিনি আমাদেরকে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা দিয়েছেন। এসব ঘটনা তাঁর সত্যতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আর জামা’তের সদস্যদের ঈমানকে দৃঢ় করছে। আল্লাহ্ তা’লা পৃথিবীবাসীর হৃদয়ের দ্বার উন্মুক্ত করুন এবং তাদেরকে ঈমান আনায়নের তৌফিক দিন। এরপর হুযূর (আই.) করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান করেন। পরিশেষে হুযূর (আই.) সম্প্রতি মৃত্যুবরণকারী মুকাররমা আমাতুল হাদী সাহেবা, মুকাররম সাকিব কামরান সাহেব ও তার পুত্র মুকাররম আরব কামরান এবং মুকাররম প্রফেসর ডাক্তার মুহাম্মদ ইসহাক দাউদ সাহেবের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করেন এবং নামাযের পর তাদের গায়েবানা জানাযা পড়ানোর ঘোষণা প্রদান করেন।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা