بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
১৩ আগস্ট, ২০২১
সালানা জলসা যুক্তরাজ্য ২০২১ পর্যালোচনা
মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৩ই আগস্ট, ২০২১ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সদ্য সমাপ্ত সালানা জলসা যুক্তরাজ্য ২০২১ পর্যালোচনা করে সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য খোদা তা’লা ও কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্বজুড়ে জলসার যে কল্যাণরাজি পরিদৃষ্ট হয়েছে তা সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

    তাশাহ্‌হুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) সর্বপ্রথম আল্লাহ্ তা’লার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আহমদীয়া জামাত যুক্তরাজ্যের বার্ষিক জলসা দু’বছর পর গত শুক্রবার আরম্ভ হয়ে তিনদিন পর্যন্ত আধ্যাত্মিক দৃশ্যাবলী প্রদর্শন করে গত রবিবার সমাপ্ত হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্। হুযূর (আই.) বলেন, যেহেতু ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে জলসা অনুষ্ঠিত হয় নি এবং এবছরও প্রায় অনুরূপ পরিস্থিতি বিরাজমান, তাই জলসার ব্যবস্থাপকরা ভেবেছিলেন, এবছরও জলসা হবে না। কিন্তু যখন তাদেরকে বলা হয় যে, ইনশাআল্লাহ্ জলসা অনুষ্ঠিত হবে, তখন তারা প্রস্তুতি শুরু করেন; কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল তারা পূর্ণ মনোযোগের সাথে প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। হুযূর (আই.) বলেন, এক পর্যায়ে তিনি ব্যবস্থাপনাকে কঠোর ভাষায় সতর্কও করেন যে, তারা যদি পূর্ণ মনোযোগের সাথে প্রস্তুতি না নেন এবং জলসা হওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন, তবে তিনি নতুন ব্যবস্থাপনা গঠন করবেন; তখন ব্যবস্থাপনা পূর্ণোদ্যমে প্রস্তুতি আরম্ভ করে। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীরা, যারা মূল জনশক্তি, তারা যেন আগে থেকেই জলসার কাজ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছিল; তাৎক্ষণিকভাবে জলসার জন্য দলে দলে স্বেচ্ছাসেবকরা আসতে আরম্ভ করে। যেহেতু জলসা সীমিত পরিসরে হচ্ছে, তাই এটা কঠিন হয়ে পড়েছিল যে, কীভাবে কর্মী নির্বাচন করা হবে। নারীদের মধ্য থেকে ইচ্ছুক কর্মীদের এক-পঞ্চমাংশ এবং পুরুষদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে সেবা করার সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়েছে; অবশিষ্টরা সেবা করার সুযোগ না পেয়ে মনক্ষুণ্নও হয়েছে। হুযূর (আই.) তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহ্ তা’লা নিয়্যত বা সংকল্প অনুযায়ী কর্মের প্রতিদান দিয়ে থাকেন; যেহেতু তারা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর অতিথিদের সেবার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলেন, তাই সেবা করতে না পারলেও আল্লাহ্-প্রদত্ত প্রতিদান থেকে তারা বঞ্চিত হবেন না। হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা তাদের সবাইকে সেবার নিমিত্তে তাদের এই আবেগ-উচ্ছ্বাসের উত্তম প্রতিদান দিন, (আমীন)।

    দ্বিতীয়ত হুযূর(আই.) বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যারা স্ব-স্ব বিভাগে দায়িত্ব পালনের পূর্ণ প্রচেষ্টা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ হুযূর কিছু দৃষ্টান্তও উপস্থাপন করেন। বৃষ্টির কারণে পার্কিং থেকে গাড়ি বের করতে সমস্যার সৃষ্টি হলে স্বেচ্ছাসেবকরা আক্ষরিক অর্থেই কাদায় আটকে পড়া গাড়িগুলো অনেক কষ্ট করে বের করেছেন, কখনও কখনও অন্য বিভাগের কর্মীরাও একাজে তাদের সাথে অংশগ্রহণ করেছে। এই দৃশ্য এমটিএ’র ক্যামেরার চোখ দিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষ দেখেছে এবং সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেছে; অ-আহমদী ও অ-মুসলিমরা তো এই মন্তব্যও করেছে যে, এই যুগে এমন দৃশ্য অবিশ্বাস্য। বস্তুত আল্লাহ্ তা’লাই হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর জামাতকে এরূপ আশ্চর্য নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবাহিনী দান করেছেন। একইভাবে পরিচ্ছন্নতা, খাবার রান্না ও পরিবেশন, জলসার অবকাঠামো তৈরি ও সেগুলো গোটানোসহ বিভিন্ন বিভাগ যেভাবে কাজ করেছে, এমটিএ ও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এসব দেখে সবাই খুবই প্রভাবিত হয়েছে। জলসায় আগত অতিথিরাও কৃতজ্ঞচিত্ত ছিলেন। এমটিএ’ও এসব দৃশ্য সবাইকে দেখানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং উত্তমরূপে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আর তারা সারা পৃথিবীকে শুধু জলসাই দেখায় নি, বরং পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন স্থানে জলসা উপভোগরত আহমদীদেরও দেখিয়েছে। এভাবে এক বিষ্ময়কর আন্তর্জাতিক পরিবারের দৃশ্য উপস্থাপিত হয়েছে। হুযূর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জলসার সকল কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং পৃথিবীজুড়ে যারা জলসা দেখেছেন ও হুযূর (আই.)-কে চিঠি লিখে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন- তাদের পক্ষ থেকেও কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    হুযূর (আই.) বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আজ সংক্ষেপে জলসার কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে খুতবার নিয়মিত বিষয় বর্ণনা করবো, কিন্তু বিভিন্ন দেশ থেকে জলসা বিষয়ক অভিব্যক্তি, সুগভীর প্রভাব এবং আহমদী ও অ-আহমদীদের অসাধারণ আবেগ সম্বলিত পত্র এত বিপুল সংখ্যায় এসেছে যে, আজকের খুতবায় সেগুলো তুলে ধরারই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবারের ভিন্ন পরিস্থিতির জলসা কীভাবে আল্লাহ্ তা’লার কৃপারাজির নতুন নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে এবং বৈরি পরিস্থিতিতেও কীভাবে আল্লাহ্ তা’লা কৃপা করেছেন, তা দেখে আল্লাহ্ তা’লার প্রতি কৃতজ্ঞতায় হৃদয় প্রণত হয়। হুযূর (আই.) সংক্ষেপে কিছু রিপোর্ট ও অভিব্যক্তি তুলে ধরেন। যুক্তরাজ্যে ৫টি স্থানে এবং ২২টি দেশের ৩৭টি স্থানে একত্রে বসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আহমদীরা জলসা উপভোগ করেছেন, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, গুয়াতেমালা ও বাংলাদেশের উল্লেখ হুযূর (আই.) বিশেষভাবে করেন। মহিলাদের জন্য প্রথমবারের মত পৃথক স্ট্রিমিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল; মহিলাদের অধিবেশনও বিশ্বের প্রায় ৩০/৩৫ হাজার মহিলা দেখেছেন।

    নাইজারের একজন অ-আহমদী বন্ধু জলসার অনুষ্ঠান দেখে মন্তব্য করেন, পূর্বে তিনি শুনেছিলেন যে, আহমদীরা মুসলমান নয়; কিন্তু জলসা দেখার পর তার ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে এবং তিনি মনে করেন, যদি পৃথিবীর সব মুসলমান আহমদীদের মতো হতো তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তিই তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পেতো না। জাম্বিয়ায় একস্থানে আহমদীরা ছাড়া ৩৫ জন অ-আহমদী অতিথিও জলসা দেখেছেন; সেখানে একজন খ্রিস্টান শিক্ষক মন্তব্য করেন, আজ তিনি জানতে পেরেছেন যে, ইসলামই হল একমাত্র সত্য ধর্ম। একইভাবে নাইজেরিয়ার এক অ-আহমদী বন্ধু জলসা দেখে মন্তব্য করেন, পৃথিবীতে যদি কোন সত্য জামাত থেকে থাকে তবে তা হল, আহমদীয়া জামাত। জাপানের হিরোশিমা নিবাসী একজন অ-আহমদী বন্ধু মন্তব্য করেন, ৬ আগস্টের খুতবা শুনে তার মনে পড়ে যায়- এই জামাতের দ্বিতীয় খলীফাও এক শুক্রবার দিনেই, যা ছিল ১০ আগস্ট ১৯৪৫, কীভাবে হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ উচ্চকিত করেছিলেন। অ-আহমদী অতিথিরা লাজনার অধিবেশনে প্রদত্ত হুযূর (আই.)-র ভাষণ শুনে অকপটে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যা নারীদের যথাযথ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। নাইজারের একজন অ-আহমদী অতিথি মরিয়ম সাহেবা এই ভাষণ শুনে মন্তব্য করেন, যদি এই বক্তব্য এবং আহমদীদের প্রকৃত অবস্থা অনুরূপ হয়ে থাকে, তবে আহমদীদের চেয়ে উত্তম আর কেউ নেই। প্রসঙ্গত হুযূর (আই.) বলেন, অতএব, শুধু বক্তৃতার মধ্যে সীমিত থাকলেই চলবে না, কার্যত আমাদের তা পালনও করতে হবে; আমরা যেন পৃথিবীকে ধোঁকা না দেই বরং আমাদের কথা ও কাজে যেন এক হই। জলসার সার্বিক কার্যক্রম একইসাথে এতগুলো ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে- এটি দেখে একজন অ-আহমদী মন্তব্য করেন, আমি নিজেও ডিশ লাগাব ও এমটিএ দ্বারা উপকৃত হব। এ প্রেক্ষিতে হুযূর (আই.) মন্তব্য করেন, আহমদীদেরও এটা বুঝা উচিত এবং এমটিএ’র মাধ্যমে উপকৃত হওয়ায় সচেষ্ট হওয়া উচিত। হুযূর (আই.) দূর-দূরান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নবাগত আহমদীরা কীভাবে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে এবং সাইকেল চালিয়ে আমাদের কেন্দ্রে এসে জলসা দেখেছেন তারও কিছু ঈমানউদ্দীপক ঘটনা বর্ণনা করেন।

    জলসার অনুষ্ঠান দেখে আহমদীয়াত গ্রহণের বেশ কিছু ঘটনাও হুযূর (আই.) উল্লেখ করেন। আইভরি কোস্টে হাসান সাহেব নামক একজন ব্যক্তির জলসা দেখার পর আহমদীয়াত গ্রহণের ঘটনা হুযূর (আই.) তুলে ধরেন। কঙ্গোর প্রত্যন্ত একটি এলাকায়, যেখানে বিদ্যুৎ নেই বলে মানুষ রেডিওতে জলসা শোনে এবং এরপর অনেকে বয়আতও গ্রহণ করে- সেই ঘটনাও হুযূর উল্লেখ করেন। গিনি বাসাও-এ একস্থানে জলসার অনুষ্ঠান দেখে এবং হুযূরের বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে ১২৭জন ব্যক্তির বয়আত গ্রহণের ঘটনাও হুযূর তুলে ধরেন। ক্যামেরুনের মারওয়া অঞ্চলের একজন স্থানীয় ইমাম, যিনি জলসার কার্যক্রম দেখার পর নিজ বন্ধুদের নিয়ে আহমদীয়াত গ্রহণ করেছেন, তার উল্লেখ করে হুযূর (আই.) বলেন, এটি প্রমাণ করে যে, অ-আহমদী আলেমদের মধ্যেও কেউ কেউ পবিত্র স্বভাবের অধিকারী রয়েছে এবং তারা সত্য অনুধাবনের পর তা গ্রহণ করার সৎ-সাহসও রাখে।

    হুযূর (আই.) পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আহমদীরা জলসা দেখে যে গভীর আবেগপূর্ণ পত্র লিখেছেন, তার মধ্য থেকেও কয়েকটির উল্লেখ করেন। এসব পত্র ইয়েমেন, জর্ডান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জার্মানি, কিরগিজস্তান, গুয়াতেমালা, আলবেনিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ- মোটকথা পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে এসেছে। জলসা চলাকালীন বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনেরা যেসব শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠিয়েছেন, হুযূর (আই.) তাদেরও কয়েকজনের উল্লেখ করেন; তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী, লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের নেতাসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবন্দ উল্লেখযোগ্য।

    হুযূর (আই.) জলসার কার্যক্রম সম্প্রচারেরও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এমটিএ আফ্রিকার রিপোর্ট অনুসারে আফ্রিকায় ১৪টি ভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও হুযূরের ভাষণগুলো সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে এবং ৬০ মিলিয়ন মানুষ তা দেখেছে। উগান্ডায় অ-আহমদীরা জলসাবিরোধী প্রচারণা করেছে, যার ফলে অনেক মানুষ জলসা সম্পর্কে জানতে পেরেছে এবং জলসা দেখেছে। প্রেস ও মিডিয়া বিভাগের মাধ্যমে একাধিকবার জলসার সংবাদ বিবিসি’তে প্রচারিত হয়েছে; বিবিসি ওয়ার্ল্ডও জলসা সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার করেছে এবং আনুমানিক ৫২ মিলিয়ন মানুষ তা দেখেছে। ২০টি পত্র-পত্রিকায় জলসার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ মিলিয়ন মানুষ আহমদীয়াত সম্পর্কে জেনেছে। এছাড়াও ১২টি টিভি চ্যানেলে জলসার সংবাদ প্রচারিত হয় যা ২.২ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। এগুলো ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ৬৩ লক্ষ মানুষের কাছে জামাতের সংবাদ পৌঁছেছে। বাংলাদেশেও প্রায় আটশ’ অ-আহমদী জলসার অনুষ্ঠান দেখেছে এবং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ জলসার সংবাদ পড়েছে। এমটিএ’র ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ১৫ মিলিয়ন মানুষ জলসার কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছে, ইনস্টগ্রামে ৩৫ হাজার মানুষ এমটিএ’র পেইজ দেখেছে, লক্ষাধিক মানুষ এমটিএ’র টুইটার পেইজ দেখেছে এবং সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষের কাছে আহমদীয়াতের সংবাদ পৌঁছেছে। এমটিএ’র নিজস্ব ওয়েবসাইটও লক্ষবার দেখা হয়েছে এবং এমটিএ অন-ডিমান্ডের মাধ্যমে দু’লক্ষাধিক মানুষ জলসা দেখেছে।

    হুযূর (আই.) দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা এই জলসার অনন্য ফলাফল সৃষ্টি করুন, আহমদীয়াত তথা খাঁটি ইসলামের প্রতি সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের পূর্বের চেয়ে অধিক মনোযোগ নিবদ্ধ হোক এবং নামসর্বস্ব আলেমদের অনিষ্ট থেকে জামাত ও পবিত্রাত্মা ব্যক্তিরা নিরাপদ থাকুন। (আমীন)

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা