بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
৬ নভেম্বর, ২০২০
তাহরীকে জাদীদ বর্ষ ২০২০ ও মহানবী (সা.)-এর ব্যাঙ্গচিত্র এবং ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির নিন্দা
মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৬ই নভেম্বর, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় তাহরীকে জাদীদের ৮৭তম নববর্ষের ঘোষণা করেন এবং আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও বিশ্বব্যাপী নিষ্ঠাবান আহমদীদের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে আর্থিক কুরবানী সংক্রান্ত বিভিন্ন ঈমানোদ্দীপক ঘটনা বর্ণনা করেন।


    তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) সূরা বাকারার ২৭৫ নং আয়াত পাঠ করেন, **الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سِرًّا وَعَلَانِيَةً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ** যার অর্থ হল: যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, প্রকাশ্যে ও গোপনে খরচ করে, তাদের জন্য তাদের প্রভু-প্রতিপালকের সন্নিধানে পুরস্কার রয়েছে। আর তাদের কোন ভয় নেই আর তারা দুঃখিতও হবে না। হুযূর বলেন, আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কুরআনের অগণিত স্থানে আর্থিক কুরবানীর প্রতি মু’মিনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই আয়াতে বলা হয়েছে, মু’মিনরা দিন-রাত আল্লাহ্‌র পথে সম্পদ ব্যয় করে থাকে, আর তা গোপনেও করে থাকে, আবার প্রকাশ্যেও করে থাকে; আর দু’টোই আল্লাহ্ তা’লার কাছে গৃহীত হয়। কারণ কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ্ তা’লা বলেছেন,**وَمَا تُنْفِقُونَ إِلَّا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ** অর্থাৎ, মু’মিনরা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই খরচ করে থাকে। কাজেই একজন প্রকৃত মু’মিনের লক্ষণ হল, সে পুণ্যকর্ম করে, আল্লাহ্‌র পথে নিজের পবিত্র সম্পদ ব্যয় করে, দিন-রাত পুণ্যকর্ম সাধনের চিন্তায় রত থাকে; কখনও প্রকাশ্যে আর্থিক কুরবানী করে, কখনও গোপনেও তা করে- এগুলো সবই আল্লাহ্ তা’লার দরবারে গৃহীত হয়। কিন্তু শর্ত হল, সেসব কুরবানীর একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন হওয়া চাই; লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে কৃত কুরবানী আদৌ আল্লাহ্‌র দরবারে গৃহীত হয় না। এটিই সেই স্পৃহা, যা দৃষ্টিপটে রেখে একজন মু’মিনের আল্লাহ্‌র পথে আর্থিক কুরবানী করা উচিত, আর আল্লাহ্‌র কৃপায় এই স্পৃহা দৃষ্টিপটে রেখেই আহমদীয়া জামাতের সদস্যরা আর্থিক কুরবানী করে থাকেন। যদি এই স্পৃহা ও প্রেরণা না থাকে, তবে আমাদের কুরবানী করা অর্থহীন এবং পরিণামে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। কুরবানীর উদ্দেশ্য যেন এটা না হয় যে ‘অমুক এতটা কুরবানী করেছে, তাই আমাকে তার চেয়ে বেশি করতে হবে’; কিংবা কেউ এজন্য বেশি চাঁদা দেয় যেন অন্যদের কাছে দম্ভভরে তা বলতে পারে, অথবা কোন মতভেদের সময় চাইবে তার মোটা অংকের কুরবানীর কারণে সবাই তার কথা যেন মেনে নেয়; বা কোন জামাত বা হালকা যেন এটা না ভাবে যে, ‘অমুক জামাত বা হালকা আমাদের চেয়ে চাঁদা প্রদানে এগিয়ে গেলে মানুষ আমাদের কী বলবে’; কিংবা কারও মধ্যে এমন চিন্তা সৃষ্টি না হয় যে ‘বেশি চাঁদা দিলে আমি খলীফার সুনজরে আসবো বা তিনি আমার উল্লেখ করবেন’; এরূপ উদ্দেশ্য উল্টো মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। আল্লাহ্ তা’লা বলছেন, তাঁর পথে ব্যয় করার উদ্দেশ্য যেন কেবল এবং কেবলমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন হয়। যখন মানুষ আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিষ্ঠার সাথে তাঁর পথে ব্যয় করবে, তখন আল্লাহ্ তাকে নিজের কোলে স্থান দেবেন; আল্লাহ্ স্বয়ং তাকে সম্মান দান করবেন, আর সেই সম্মান তাকে আরও বিনয়ী করবে। আর আল্লাহ্ তা’লা নিজ সন্তুষ্টি ছাড়াও তাদেরকে কখনও কখনও জাগতিকভাবেও পুরস্কার প্রদান করেন, যার লক্ষ লক্ষ উদাহারণ আহমদী জামাতের সদস্যরা দেখে থাকেন; আর এভাবে তাদের ঈমান আরও সুদৃঢ় হয়। হুযূর বলেন, আর্থিক কুরবানীকারীদের এটিও স্মরণ রাখা উচিত, তাদের স্ত্রী সন্তানদেরও অধিকার রয়েছে, যা প্রদান করা আবশ্যক; কিন্তু একইসাথে তাদেরকে স্বল্পে-তুষ্টি শেখানো এবং আর্থিক কুরবানীর জন্য উদ্বুদ্ধ করাও তাদের দায়িত্ব।


    এরপর হুযূর গতবছর তাহরীকে জাদীদ খাতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আহমদীরা যে অসাধারণ কুরবানী করেছেন এবং তাদের আন্তরিক কুরবানীর ফলে আল্লাহ্ তা’লা তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে যে প্রতিদান দিয়েছেন সে সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন।


    হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেন, “কুরআন বলে, তোমরা নিজেদের সব পুণ্যকর্ম লোকচক্ষুর অন্তরালে করো না। যখন তোমরা দেখবে গোপনে করা তোমাদের জন্য শ্রেয় তখন প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজ গোপনে কর কিন্তু যখন তোমরা দেখবে, দেখিয়ে করলে সাধারণ মানুষের জন্য তা কল্যাণকর তাহলে কোন কোন কাজ প্রকাশ্যেও কর যাতে তোমরা দ্বিগুণ প্রতিদান পেতে পারো। আর দুর্বল লোকেরা যেন তোমাদের দেখাদেখি সেই পুণ্যকাজ করতে সক্ষম হয়। শুধুমাত্র কথা দিয়েই মানুষকে বুঝিও না, বরং ক্ষেত্রবিশেষে নিজের ব্যবহারিক দৃষ্টান্ত দিয়েও শেখাও, কেননা সব জায়গায় কথা প্রভাব ফেলে না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদর্শ অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে”।


    আলবেনিয়ার মুবাল্লিগ সামাদ সাহেব বলেন, ২০২০ সালের জলসায় সমাপনী বক্তৃতায় আমি আল্লাহ্ তা’লার কৃপারাজি সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করি। আলবেনিয়ার বন্ধু জা’ফর কোচী সাহেব তা শুনেন, এতে আমি তার বয়আত করার ঘটনাও বলেছিলাম। মুরব্বী সাহেব লিখেন, আগস্ট পর্যন্ত তার কোন আয়-উপার্জন ছিল না। একদিন জুমুআর নামাযের পর জানতে চান অন্যরা যে চাঁদা দেয় আমাকে সে সম্পর্কে বলুন। তিনি বলেন, এই মাসেই তার ফ্ল্যাট ভাড়া হয়েছে, ভাড়ার টাকা হতে তিনি অনেক টাকা নিয়ে আসেন আর আবশ্যিক চাঁদা দেওয়ার পর বাকি সক টাকা তাহরীক জাদীদ খাতে দিয়ে দেন। আমি তাকে বলি, কুরআন শরীফে আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যারা আর্থিক কুরবানী করেন আল্লাহ্ তাদেরকে তা বাড়িয়ে ফেরত দেন। তিনি বলেন, আমি পাওয়ার উদ্দেশ্যে নয় বরং খোদার সন্তুষ্টি লাভের জন্যই চাঁদা দিয়েছি। হুযূর বলেন, এভাবেই আল্লাহ্ নবাগতদের চিন্তা-চেতনায় অভাবনীয় পরিবর্তন সৃষ্টি করেন।


    একইভাবে আর্জেন্টিনার নবাগতা আহমদী বিধবা ফাতিমা ভেরোনিকা সাহেবা ৫ হাজার আর্জেন্টাইন পেসো দান করেন। এরপর হুযূর একাধারে ইন্দোনেশিয়ার মার্সিলা ও নূর খাতুন সাহেবা। মালীর এক দরিদ্র বৃদ্ধ আহমদী ইয়াতারা তোরগোরে সাহেব, ফ্রান্স ও জার্মানীর দু’জন নিষ্ঠাবান আহমদীর এক এক হাজার ইউরো প্রদানের ঘটনা। কানাডা নিবাসী একজন সিরিয়ান আহমদীর পাঁচহাজার ডলার প্রদানের ঘটনা বর্ণনা করেন। এছাড়া গাম্বিয়া, সিয়েরালিওন, মার্শাল আইল্যান্ড, ফিলিপাইন, কাবাবীর, যুক্তরাজ্য, কাযাকিস্তান, আলবেনিয়া, তানজানিয়া, ভারত এবং ঘানার নিষ্ঠাবান আহমদীদের আর্থিক কুরবানী সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। যারা নিজেদের সকল জাগতিক চাহিদা, প্রয়োজন এমনকি চিকিৎসাকে উপেক্ষা করে নিজেদের তাহরীকে জাদীদের ওয়াদা পূরণ করেছেন।


    হুযূর বলেন, এগুলো অসংখ্য ঘটনার মধ্য হতে কয়েকটি মাত্র। আল্লাহ্ তা’লা সকল আর্থিক কুরবানীবারীর ধন-সম্পদ ও জনবলে প্রভূত বরকত দান করুন।


    এরপর হুযূর তাহরীকে জাদীদের ৮৭তম নববর্ষের ঘোষণা প্রদান করেন এবং ৮৬তম বছরে এ খাতে বিশ্ব আহমদীয়া জামাত সর্বমোট যে কুরবানী করেছেন তার বিভিন্ন পরিসখ্যান তুলে ধরেন। এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সত্ত্বেও তাহরীকে জাদীদ খাতে মোট চাঁদা আদায় হয়েছে, এক কোটি চুয়ান্ন লক্ষ পাউন্ড যা গত বছরের চেয়ে আটলক্ষ বিরাশি হাজার পাউন্ড বেশি, আলহামদুলিল্লাহ্।


    চাঁদা প্রদানের দিক থেকে শীর্ষ দশটি দেশ হল, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ঘানা এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ। এছাড়া মাথাপিছু বেশি চাঁদা প্রদানকারী তিনটি শীর্ষ দেশ হল, সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুর। এরপর হুযূর বিভিন্ন দেশের আভ্যন্তরিণ পরিসংখ্যান প্রদান করেন আর সবার জন্য দোয়া করেন।


    খুতবার শেষদিকে হুযূর ফ্রান্সে মহানবী (সা.)-এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে স্বীয় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেন।


    হুযূর বলেন, বর্তমানে অনেক বেশি দোয়ার প্রয়োজন। আমরা সাধারণত নিজেদের জন্য এবং জামা’তের জন্য দোয়া করে থাকি। সার্বিকভাবে মুসলমানদের জন্যও দোয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিম দেশগুলোর কোন কোন নেতা চরম হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করছে। আর এ কথা সুস্পষ্ট, এসব নেতা ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণকে খোদা মনে করে- তাদের ইচ্ছানুযায়ী নিজেদের বিবৃতি দেয় এবং পলিসি বা নীতি নির্ধারণ করে। অথবা অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে এ দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে যে, খোদা বলে কিছু নেই, তোমরাই সবকিছু বা জনগণই ক্ষমতার মূল উৎস। স্পষ্টভাবে না বললেও, ইসলামের বিরুদ্ধে তারা নিজেদের হৃদয়ে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ লালন করে। আর জনগণের একটি বড় অংশ ইসলামের বিষয়ে সঠিক ধারণা না রাখার কারণে মুসলমানদের বিরুদ্ধাচারণ করে থাকে। যাহোক, আমাদেরকে দোয়ার মাধ্যমে, চেষ্টা-প্রচেষ্টার মাধ্যমে জগতকে বলতে হবে, প্রকৃত ইসলাম কাকে বলে আর ইসলামী শিক্ষা কি।


    বিগত দিনগুলোতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। তিনি ইসলামকে সংকটের ধর্ম বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদি সংকটের ধর্ম বলতে কিছু থেকেই থাকে তবে তা তাদের নিজেদের ধম অথাৎ, খ্রিস্টধর্ম। ইসলাম আল্লাহ তা’লার কৃপায় জীবন্ত ধর্ম এবং ফুলে-ফলে সুশোভিত ধর্ম। আর আল্লাহ্‌ তা’লা প্রত্যেক যুগে তা সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এ যুগেও হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর মাধ্যমে ইসলামের তবলীগ পৃথিবীর সকল প্রান্তে বিস্তার লাভ করছে। আজ মুসলমানদের মাঝে ঐক্য না থাকার কারণে তারা এমন ধৃষ্টতা দেখায়। তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এর প্রতিক্রিয়ার কারণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এখন কিছুটা নমনীয় হয়েছে। যদি ৫৪/৫৫টি ইসলামী দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতো তাহলে তারা এমনটি করার সাহস দেখাতো না বরং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হত। এক্ষেত্রে হুযূর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক মন্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করে তার জন্য দোয়া করেন।


    হুযূর বলেন, গুটিকয়েক উগ্রপন্থী মুসলমানের অন্যায় কর্মকাণ্ডকে ইসলাম নাম দিও না। কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীর এটি সাজে না, কোন ব্যক্তির অন্যায় আচরণকে ইসলামের শিক্ষা আখ্যা দেয়া এবং ইসলাম ধর্মকে সংকটের ধর্ম বলে দেশবাসীকে উত্তেজিত করা উচিত নয়। মুসলমানকে অন্যায় কাজে তারাই উদ্বুদ্ধ করেছে। ব্যাঙ্গচিত্র বানানো এবং মহানবী (সা.)-এর অবমাননা কোন আত্মাভিমানী মুসলমান সহ্য করতে পারে না। আর এর ফলে যদি কারো দ্বারা কোন বেআইনি কাজ হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভারও তাদেরকেই নিতে হবে।


    হুযূর (আই.) এরপর কীভাবে আমাদের যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা যতদূর সম্ভব আইনের আওতায় থেকে ইসলাম এবং মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা বিরোধী প্রত্যেক কাজের জবাব দিয়ে থাকি আর দিতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ্।


    হুযূর বলেন, আমি সংক্ষেপে কেবল এটুকুই বলব, আপনারা বেশি বেশি দোয়া করুন, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো যেন ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তোলে। এরপর দেখবেন, বিশ্বে এর কী প্রভাব সৃষ্টি হয়। আমরা তো আমাদের কাজ করছি আর করতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ্। অর্থাৎ মুহাম্মদী মসীহ্‌র অনুসারীদের জন্য ইসলামের অনিন্দ্য সুন্দর শিক্ষা জগতময় প্রচার করা আবশ্যক। মহানবী (সা.)-এর অত্যুজ্জ্বল শান ও মহিমা জগতের সম্মুখে তুলে ধরুন আর গোটা বিশ্বকে মহানবী (সা.)-এর পতাকাতলে সমবেত না করা পর্যন্ত এই কাজ অব্যাহত রাখুন।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা