بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
৩ জানুয়ারী, ২০২০
ওয়াকফে জাদীদের ৬৩তম বর্ষের ঘোষণা এবং আর্থিক কুরবানী সম্বলিত নিষ্ঠাবান আহমদীদের বিভিন্ন ঘটনা
মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৩রা জানুয়ারি, ২০২০ লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় ওয়াকফে জাদীদের ৬৩তম বর্ষের ঘোষণা প্রদান করেন এবং আর্থিক কুরবানী সম্বলিত নিষ্ঠাবান আহমদীদের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও আশিসরাজি তুলে ধরেন


    হুযূর (আই.) তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর বলেন, হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) তার যুগান্তকারী রচনা ইসলামী নীতি-দর্শনে আল্লাহ্ তা’লাকে পাবার, তাঁকে চেনার ও তাঁর প্রতি ঈমান দৃঢ় করার জন্য আল্লাহ্ তা’লা কর্তৃক নির্ধারিত আটটি মাধ্যমের উল্লেখ করেছেন; তন্মধ্যে পঞ্চম মাধ্যমটির কথা হুযূর (আই.) হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর ভাষায় তুলে ধরেন। তিনি (আ.) বলেন, জীবনের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্য খোদা তা’লা চেষ্টা-প্রচেষ্টাকে নির্ধারণ করেছেন, অর্থাৎ নিজ সম্পদ খোদার পথে ব্যয় করে, নিজ শক্তি খোদার পথে নিয়োগ করে, নিজ প্রাণ খোদার পথে উৎসর্গ করে এবং নিজ বুদ্ধি খোদার পথে পরিচালনা দ্বারা তাঁকে অন্বেষণ করবে। যেমন: জাহিদু বিআমওয়ালিকুম ওয়া আনফুসিকুম ফি সাবিলিল্লাহ্ (তওবা:১৪) ওয়া মিম্মা রাযাকনাহুম ইউনফিকুন (বাকারা:৪) ওয়াল্লাযিনা জাহাদু ফিনা লানাহদিয়ান্নাহুম সুবুলানা (আনকাবুত:৭০) অর্থাৎ ‘তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের প্রাণ এবং তোমাদের প্রাণ- এর যাবতীয় শক্তিসহ খোদার পথে উৎসর্গ কর এবং আমরা যে বুদ্ধি, জ্ঞান, বিচার-শক্তি, নৈপুণ্য ইত্যাদি তোমাদেরকে দিয়েছি- তা সবই খোদার পথে নিয়োজিত কর। যারা আমাদের পথে সর্বপ্রকার চেষ্টা-সাধনা করে, আমরা তাদেরকে অবশ্যই আমাদের পথ দেখিয়ে থাকি।’ আবার খোদা তা’লার ভালোবাসা অর্জনের পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি (আ.) বলেন, ‘তোমাদের পক্ষে এটি সম্ভব নয় যে, সম্পদও ভালোবাসবে আবার খোদা তা’লাকেও ভালোবাসবে। উভয়ের মধ্য থেকে কোন একটিকে ভালোবাসা সম্ভব। অতএব, সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে খোদাকে ভালোবাসে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি খোদাকে ভালোবেসে তাঁর পথে সম্পদ ব্যয় করে তবে আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে, তার সম্পদে অন্যদের তুলনায় অধিক কল্যাণ দেয়া হবে; কেননা সম্পদ আপনাআপনি আসে না, বরং খোদার ইচ্ছায় আসে। আর যে ব্যক্তি সম্পদকে ভালোবেসে খোদার পথে তা দিয়ে সেই সেবা করে না যা করা উচিত, সে অবশ্যই সেই সম্পদ হারাবে।’ তিনি (আ.) আরও বলেন, ‘আমাদের জামাতের প্রত্যেক সদস্যের এই অঙ্গীকার করা উচিত যে, “আমি এতটা চাঁদা দিব”। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’লার খাতিরে অঙ্গীকার করে, আল্লাহ্ তা’লা তার জীবিকা বৃদ্ধি করেন।’ তিনি (আ.) বলেছেন, যারা জানে না বা নবাগত, তারা কখনো কখনো এ বিষয়ে উদাসীন থাকে বা এতটা মনোযোগী হয় না; তাদেরকে বুঝাতে হবে- যদি সত্যিকার সম্পর্ক থাকে তবে খোদা তা’লার সাথে দৃঢ় অঙ্গীকার কর যে, এতটা চাঁদা অবশ্যই দেব।


    হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় এমন লক্ষ লক্ষ আহমদী আছেন, যাদেরকে স্মরণ করানো হলে তারা আল্লাহ্‌র ভালোবাসায় আর্থিক কুরবানীর ক্ষেত্রে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেন; এজন্য আমি বিগত কয়েক বছর ধরে নবাগতদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক কুরবানীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতি জামাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কখনো কখনো দেখা যায়, স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গ দুর্বল বা দরিদ্রদের পক্ষ থেকে নিজেরাই চাঁদা দিয়ে দেন; যারা এরূপ করেন, তারা ভুল কাজ করেন। আসল উদ্দেশ্য হল, গরীবদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা, তা যৎসামান্য টাকা দিয়ে হলেও। কারণ যখন অনেক সম্পদ থাকে, তখন তাত্থেকে সামান্য কিছু দিয়ে দেয়া কোন বিশেষত্ব রাখে না; বরং যখন দারিদ্রতা সত্ত্বেও কষ্ট সহ্য করে আল্লাহ্‌র ভালোবাসায় তাঁর পথে খরচ করা হয়, সেটিই মূলত বিশেষত্ব বহন করে।


    একবার মসীহ্ মওউদ (আ.) মুন্সী যাফর আহমদ সাহেবকে কোন একটি কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য কপুরথলা জামাতকে চাঁদা দিতে বলেন। তিনি (রা.) নিতান্ত অস্বচ্ছলতা সত্ত্বেও কাউকে না জানিয়ে নিজের স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে সেই অর্থ চাঁদা হিসেবে প্রদান করেন। মসীহ্ মওউদ (আ.) এটি জানতেন না। পরবর্তীতে তিনি (আ.) সেই জামাতের আরেক সদস্য মুন্সী অড়োঢ়া সাহেবকে সেই চাঁদার জন্য কৃতজ্ঞতা জানালে মুন্সী অড়োঢ়া সাহেব অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত মুন্সী যাফর সাহেবের সাথে কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখেন যে, কেন তাদেরকে সেবার এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হল। এমন আদর্শ মহানবী (সা.)-এর সাহাবীরা প্রদর্শন করেছিলেন, আর এ যুগে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সাহাবীরা ও জামাতের সদস্যরা তা প্রদর্শন করছেন।


    এরপর হুযূর বিগত বছরে ওয়াক্‌ফে জাদীদ খাতে চাঁদা প্রদানের ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া এমনই কিছু ঈমানবর্ধক ঘটনা তুলে ধরেন। আর এই ঘটনাগুলো বিভিন্ন স্থানের- কোনটি আফ্রিকার-কোনটি আমেরিকার, কোনটি ইউরোপের-কোনটি এশিয়ার, কোনটি উত্তরের-কোনটি দক্ষিণের, কোনটি ধনীদের-কোনটি দরিদ্রদের, কোনটি বৃদ্ধদের-কোনটি শিশুদের; আর একটির সাথে অন্যটির কোন সংযোগ বা সম্পর্কও নেই, কিন্তু সাদৃশ্যপূর্ণ সব ঘটনা। কোন দরিদ্র আহমদী সামান্য এক বালতি ভুট্টা চাঁদা দিয়েছেন- যতটুকু তার সামর্থ্য ছিল, প্রতিদানে আল্লাহ্ তা’লা তাকে ত্রিশ বস্তা ভুট্টা ও পনের বস্তা অন্য একটি ফসল দান করেছেন যা বিগত বছরের আয়ের তুলনায় অনেকগুণ বেশি ছিল। কেউ চাঁদার কল্যাণে জমি বিক্রির মাধ্যমে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কোটি টাকাও আয় করেছেন। কেউ আবার খুবই দৈন্যদশায় পড়ে হিজরত করে অন্য স্থানে গিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন, ব্যবসাও অতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ; কিন্তু আর্থিক কুরবানীর ব্যাপারে কখনো উদাসীন হন নি। প্রতিদানে আল্লাহ্ তা’লাও তার ব্যবসায় অসাধারণ সমৃদ্ধি দান করেছেন এবং তিনি দ্রুত সচ্ছলতা অর্জন করেছেন। কোথাও এক দরিদ্র আহমদী তার খাবারের শেষ সম্বলটুকুও চাঁদা হিসেবে দিয়ে দেয়ার পরপরই মেয়ের কাছ থেকে দু’বস্তা খাদ্যশস্য উপহার পেয়েছেন, যার কোন সম্ভাবনাও ছিল না। ইউরোপের কোন আহমদী চরম ঋণগ্রস্ত অবস্থায় দেয়া সামান্য চাঁদার কল্যাণে তার ব্যাংকের ঋণও আশ্চর্যজনকভাবে মওকুফ হয়ে গিয়েছে, উল্টো তা ক্রেডিটে বদলে দেয়া হয়েছে; আবার আফ্রিকার কোন সরকারী চাকরীজীবি আহমদী চিকিৎসার জন্য জমানো টাকা চাঁদা হিসেবে প্রদানের পর সরকার তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বহন করেছে, যা ছিল কল্পনারও অতীত। কোথাও কোন দরিদ্র আহমদী চাঁদা দেয়ার জন্য নিজের দৈনন্দিন চায়ের একটি পেয়ালা কমিয়ে দিয়েছেন, কোথাও বা ধনী ব্যবসায়ী ব্যবসার বাহ্যতঃ লোকসান দেখেও চাঁদার পরিমাণ তিনগুণ করে দিয়েছেন; কিন্তু পরিমাণে উভয়েই আল্লাহ্ তা’লার অসাধারণ কৃপাবারি দেখে কৃতজ্ঞায় নত হয়েছেন। বাবা-মা তাদের চাঁদা দেয়া সত্ত্বেও ছোট্ট শিশু-কিশোররা যেমন খলীফার নির্দেশ পালনার্থে নিজেরাই চাঁদা দিতে উদগ্রীব, আবার প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও কোন বালিকা নিজে টাকা জমিয়ে চাঁদা দিতে ব্যাকুল। এসব যাবতীয় ঘটনা যেমন একদিকে তাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত বহন করে, অন্যদিকে পরিণামে আল্লাহ্ তা’লার কৃপাবারি তাদের ঈমানের দৃঢ়তা এবং নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধির কারণ হয়। আর শুধু তা-ই নয়, এসব ঘটনা অন্যদের জন্যও শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত এবং ঈমানবৃদ্ধির কারণ হয়ে থাকে। হুযূর (আই.) বলেন, এরা এমন মানুষ, যারা খোদা তা’লার পথে কুরবানী করার কারণে মহানবী (সা.)-এর বাণী অনুযায়ী ঈর্ষণীয় সত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন।


    এরপর হুযূর ওয়াক্‌ফে জাদীদের ৬৩তম বর্ষের ঘোষণা দেন এবং সদ্যসমাপ্ত ৬২তম বছরের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। বিগত বছর এই খাতে বিশ্ব আহমদীয়া জামাত মোট ৯৬ লক্ষ ৪৩ হাজার পাউন্ড আর্থিক কুরবানী করার সৌভাগ্য লাভ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ লক্ষ পাউন্ড বেশি। সার্বিকভাবে চাঁদা সংগ্রহের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথম স্থান অর্জন করেছে যুক্তরাজ্য, এরপর যথাক্রমে পাকিস্তান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দু’টি দেশ। স্থানীয় মুদ্রার বিচারে অসাধারণ প্রবৃদ্ধি করেছে যেসব জামাত তাদের মধ্যে শীর্ষে হল ইন্দোনেশিয়া, এরপর জার্মানি ও তারপর আমেরিকা, এছাড়া ভারতও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছে। এবছর ওয়াকফে জাদীদের চাঁদায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১৮ লক্ষ ২১ হাজার, যা বিগত বছরের তুলনায় ৮৯ হাজার বেশি। হুযূর বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পাকিস্তানের মুদ্রামান যদি বিগত বছরের সমান হতো, তবে এবারও তারাই প্রথম হতো;


    হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা বিশ্বব্যাপী এসব আর্থিক কুরবানীকারীর ধন-সম্পদ ও জনবলে প্রভূত বরকত দান করুন (আমীন)।


    হুযূর অস্ট্রেলিয়ায় চলমান প্রাকৃতিক বৈরি অবস্থার জন্য দোয়ার তাহরিক করেন, এছাড়া পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটপূর্ণ অবস্থার কথা স্মরণ করিয়েও দোয়া করতে বলেন। তেমনিভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ অবস্থাও অত্যন্ত করুণ, আবার মধ্যপ্রাচ্যেও ভয়াবহ অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে আমেরিকা, ইসরায়েল, সৌদি আরব ও ইরানকে ঘিরে। সার্বিকভাবে পৃথিবীর অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ, যেন তা ধ্বংসকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে; তাই পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য এবং তারা যেন আল্লাহ্ তা’লার পানে ফিরে আসে, সেজন্য আমাদের অনেক দোয়া করা উচিত। হুযূর বলেন, আল্লাহ্ তা’লা কৃপা করুন এবং তাদেরকে বিচার-বুদ্ধি দান করুন। (আমীন)


    খুতবার শেষাংশে হুযূর নববর্ষের আগমন ও আমাদের পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টিও উল্লেখ করেন, এবং তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির অবনতির কথাও স্মরণ করান। হুযূর বলেন, নতুন বছরটি শুভ হওয়ার জন্য আমাদের দোয়া করতে হবে- আল্লাহ্ তা’লা এই বছরটিকে এভাবে কল্যাণমন্ডিত করুন পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো যেন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংসের ঠেলে না দেয়, বরং পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে; মুসলিম বিশ্ব যেন বিশেষভাবে যুগের ইমামকে মান্য করার সৌভাগ্য লাভ করে এবং তার অস্বীকারে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে নিজেদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে না দেয়। আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকেও তৌফিক দিন, আমরা যেন পূর্বের চেয়ে বেশি যুগের ইমামকে মান্য করার দায়িত্ব পালনকারী হই, পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র একত্ববাদ প্রতিষ্ঠাকারী হই এবং পৃথিবীকে মহানবী (সা.)-এর পতাকাতলে সমবেত করতে পারি, আর এই উদ্দেশ্যে নিজেদের যাবতীয় শক্তি-সামর্থ্য-সম্পদ ব্যয় করতে পারি এবং নিজেদের দোয়া ও খোদা তা’লার সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে অধিক সচেষ্ট হই। (আমীন)


    [প্রিয় শ্রোতামন্ডলি! হুযুরের খুতবা সম্পূর্ণ শোনার কখনোই কোন বিকল্প নেই, আমরা সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে খুতবার সারমর্ম উপস্থাপন করছি মাত্র। আপনাদেরকে হুযূরের পুরো খুতবাটি শোনার অনুরোধ রইল। হুযূরের খুতবাটি পুরো শুনতে পাবেন আমাদের এমটিএ’র নিয়মিত ওয়েবসাইট অর্থাৎ, www.mta.tv এবং আমাদের বাংলা ওয়েবসাইট www.ahmadiyyabangla.org -এ]


    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা