بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
১ মে, ২০২০
অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব
মসজিদ মুবারক, ইসলামাবাদ, টিলফোর্ড, লন্ডন
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১লা মে, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় সদ্যপ্রয়াত তিনজন নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করেন।


    তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, এখন আমি কয়েকজন নিষ্ঠাবান আহমদীর স্মৃতিচারণ করতে চাই, যারা সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন; তাদের কর্মক্ষেত্র ভিন্ন ছিল আর পড়াশোনার মানদ-ও ভিন্ন ছিল। কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে তারা ছিলেন অভিন্ন, আর তা হল- তারা নিজেদের সাধ্যানুসারে ধর্মকে জাগিতকতার ওপর প্রাধান্য দেয়ার অঙ্গীকার রক্ষাকারী ছিলেন। তারা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর হাতে বয়আতের দায়িত্ব পালনকারী ছিলেন, আহমদীয়া খিলাফতের প্রতি পূর্ণ বিশ্বস্ত ও একনিষ্ঠ ছিলেন, সৃষ্টজীবের প্রাপ্য অধিকার প্রদানে যত্নবান ছিলেন; আর ইসলামের যে অনিন্দ্য-সুন্দর শিক্ষা পালন করানোর জন্য আল্লাহ্ তা’লা মহানবী (সা.)-এর নিষ্ঠাবান দাসকে প্রেরণ করেছেন, তার বাস্তব চিত্র প্রকৃত অর্থেই তাদের মাঝে বিদ্যমান ছিল- তা তারা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। তাদের জীবনচরিত শুনলে এই দৃঢ়বিশ্বাস জন্মে যে, এ যুগে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-ই সেই সত্তা, যার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সৃষ্টি ও স্রষ্টার মাঝে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের উপায় আমরা রপ্ত করতে পারি; খোদা তা’লার জীবন্ত অস্তিত্বের প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন ও তাঁর সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট থাকার উন্নত মান অর্জন করতে পারি।


    মরহুমদের মধ্যে একজন ছিলেন, জামাতের মুবাল্লিগ যুলফিকার আহমদ ডামানিক সাহেব, যিনি ইন্দোনেশিয়ার একজন আঞ্চলিক মুবাল্লিগ ছিলেন; গত ২১ এপ্রিল ৪২ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন, إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ। তিনি ২৪ মে, ১৯৭৮ সালে উত্তর সুমাত্রায় জন্মগ্রহণ করেন; তার পিতার নাম ছিল শাহরোল ডামানিক এবং দাদার নাম শাহনূর ডামানিক। তাদের বংশে আহমদীয়াতের সূচনা হয় তার দাদার মাধ্যমে, যিনি ১৯৪৪ সালে মওলানা যয়নি দেহলান সাহেবের তবলীগে বয়আত গ্রহণ করেন। যুলফিকার সাহেব ১৯৯৭ থেকে ২০০২ পর্যন্ত জামেয়া আহমদীয়া ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষাগ্রহণ করেন। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মুবাল্লিগ হিসেবে জামাতের সেবা করার সুযোগ পান। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারে সহধর্মিনী শ্রদ্ধেয়া মরিয়ম সিদ্দিকা সাহেবা ছাড়াও চারজন সন্তান রেখে গিয়েছেন- জাযেব (১৫ বছর), আয়েশা, খওলা ও কায়সারা নাসিরা (৮ মাস); তারা চারজনই ওয়াকেফীনে নও। মরহুম অত্যন্ত সফল ও পরিশ্রমী মুবাল্লিগ ছিলেন; যেখানেই তার পদায়ন হয়েছে, সেখানেই তিনি তা’লীম-তরবীয়ত, যোগাযোগ স্থাপন ও তবলীগের কাজ সুচারুরূপে পালন করেছেন। মরহুম নম্রভাষী ছিলেন, সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতেন, সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন; কখনো কোন চাহিদা প্রকাশ করতেন না, বরং সর্বদা দোয়া করার উপদেশ দিতেন। হুযূর (আই.) বলেন, এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ এক বৈশিষ্ট্য যা প্রত্যেক ওয়াক্ফে যিন্দেগীর মাঝে থাকা উচিত; যা চাওয়ার তা যেন আল্লাহ্ তা’লার কাছে চায়, অন্যের কাছে কোন চাহিদা প্রকাশ না করে।


    মরহুমের তবলীগে অনেক বয়আত হয়েছে; কার্যক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করতেন, ফলে তিনি যেখানেই গিয়েছেন- সফলতা লাভ করেছেন। তিনি অত্যন্ত পুণ্যবান ব্যক্তি ছিলেন, অসুস্থাবস্থায়ও জামাতের দায়িত্বকে প্রাধান্য দান করতেন। তার অধীনস্ত অন্যান্য মুবাল্লিগদের খুব সুন্দরভাবে নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করাতেন। সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে খুব ভালো সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন, যার ফলে বেশ কয়েকবার তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা প্রদানের সুযোগ পান। আহমদীয়াত থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মের সাথে যোগাযোগ পুনর্বহালের ব্যাপারে তার অঞ্চলে সবসময় অভিযান চালিয়েছেন এবং এক স্থানে বিশ বছর পর জামাত পুনঃপ্রতিষ্ঠার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। এসব কাজে নৌকায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাকে বিভিন্ন দ্বীপেও যেতে হতো, অথচ তিনি ডায়লাইসিসের রোগী ছিলেন। তাকে অসুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করলে বলতেন, ‘যতক্ষণ আমার মাঝে শক্তি আছে, আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সেবা করে যাব।’ বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন, হুযূরের সাথে সাক্ষাৎ ও কাদিয়ান দর্শনের যে আন্তরিক বাসনা তার ছিল, তা সবই আল্লাহ্র কৃপায় পূরণ হয়েছে। তবলীগের ব্যাপারে সবসময় অন্যদের সাহস দিয়ে বলতেন, ‘নিরাশ হবে না, আমাদের কাজ হল বীজ বপন করা, ফসল হয়তো অন্য কেউ ঘরে তুলবে’। হুযূর বলেন, তিনি বয়আতের অঙ্গীকারও পূর্ণ করেছেন এবং ওয়াক্ফের অঙ্গীকারও অত্যন্ত উত্তমরূপে পালন করেছেন; আল্লাহ্ তা’লা তার পদমর্যাদা ক্রমাগত উন্নত করুন, তার স্ত্রী-সন্তানদেরকে স্বীয় নিরাপত্তা-বেষ্টনীতে আবদ্ধ রাখুন এবং স্বয়ং তাদের অভিভাবক হোন।


    হুযূর দ্বিতীয় স্মৃতিচারণ করেন পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-নিবাসী ডা. পীর মুহাম্মদ নকীউদ্দীন সাহেবের, যিনি গত ১৮ এপ্রিল ৭৪ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন, إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে তার মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। মরহুম তার সহধর্মিনী ছাড়াও এক পুত্র ও চার কন্যা সন্তান রেখে গিয়েছেন; সন্তানরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। মরহুমের পিতা ও মাতা উভয়ের পরিবারই হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সাহাবীদের বংশধর, তার বংশতালিকা সূফী আহমদ জান সাহেবের সাথে যুক্ত। তার দাদা হযরত পীর মাযহারুল হক সাহেব এবং নানা হযরত মাস্টার নযীর হোসেন সাহেব উভয়ই মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর বিশিষ্ট সাহাবী ছিলেন। তার দাদা কাদিয়ানের মাদ্রাসাতুল্ আহমদীয়াতে খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.)’র সহপাঠী ছিলেন। মরহুম ১৯৭০ সালে নিশতার মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৭৫-৭৬ এ ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত হন ও সরকারি হাসপাতালে যোগদান করেন; দীর্ঘদিন সেখানে সেবাদানের পর ইরান চলে যান, ৩ বছর পর দেশে ফিরে ব্যক্তিগত ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন ও বিগত ২৫-৩০ বছর ধরে সেখানেই গরীবদের সেবা করে আসছিলেন। তিনি ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ইসলামাবাদ জামাতের কাযী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন; তার বিচার সবসময় কুরআন ও সুন্নতের আলোকে হতো যা বিবদমান পক্ষগুলোকে আশ্বস্ত করত। খুবই পরোপকারী একজন মানুষ ছিলেন, সৃষ্টি-সেবায় সদা উদগ্রীব থাকতেন। তিনি তার ডাক্তারি পাশের সংবাদ তার দাদাকে দিলে তার দাদা অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে তাকে বিভিন্ন উপদেশ দেন, যার মধ্যে একটি ছিল- রোগীদের শুধু চিকিৎসা-ই করবে না বরং তাদের জন্য দোয়াও করবে; কারণ হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলতেন, ‘যে চিকিৎসক তার রোগীদের জন্য দোয়া করে না, কেবল নিজের চিকিৎসার ওপর নির্ভর করে- সে আসলে শির্ক করে’। তাই তিনি পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় ধরে প্রত্যহ দু’রাকাত নফল নামায পড়ে বিশেষভাবে তার রোগীদের জন্য দোয়া করতেন;


    হুযূর বলেন, প্রত্যেক আহমদী ডাক্তারের এই উপদেশ পালন করা উচিত। তিনি রোগীদের সাথেও খুব উত্তম ব্যবহার করতেন, অল্প খরচে তাদের চিকিৎসা দিতেন; দৈনিক শতকরা ৫০ ভাগ রোগীর চিকিৎসা বিনামূল্যে করতেন। তবলীগ-পাগল মানুষ ছিলেন, পাকিস্তানের বৈরী পরিবেশেও তবলীগ করতে পিছপা হতেন না; বেশ কয়েকজনকে বয়আতও করিয়েছেন এবং অনেককেই আহমদীয়াতের সত্যতা স্বীকার করিয়েছেন। ইউকে জলসার সময় অ-আহমদীদের দাওয়াত দিয়ে জলসার অনুষ্ঠান দেখাতেন এবং উত্তমরূপে আতিথেয়তা করতেন। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর নিকটাত্মীয়দের বারণ সত্ত্বেও তিনি ক্লিনিকে যেতেন আর বলতেন, ‘এমন সময় ডাক্তাররা যদি ঘরে বসে থাকে, তাহলে রোগীদের কি হবে?’ মরহুম দিব্যদর্শী ব্যক্তি ছিলেন, বেশ কয়েকবার কাশ্ফ বা দিব্যদর্শন লাভের সৌভাগ্য হয়েছে। রাজনীতি, ফ্যাশন ইত্যাদিতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না, আগ্রহ ছিল কেবল আল্লাহ্‌র ইবাদত, পবিত্র কুরআন ও ধর্মীয় জ্ঞান চর্চা ও উন্নত চারিত্র্যের প্রতি; বিদআত ও সামাজিক কদাচারের বিরুদ্ধে পর্বতের ন্যায় অটল ছিলেন। অত্যন্ত স্নেহবৎসল পিতা ছিলেন, সন্তানদের উত্তমরূপে তরবীয়ত করেছেন। তিনি বলতেন, ‘যদি খোদা তা’লার সাথে জীবন্ত সম্পর্ক সৃষ্টি না হয় তবে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর বয়আতের দায়িত্ব পালন করা হয় না; কেননা হুযূর (আ.)-এর আগমনের উদ্দেশ্যই ছিল খোদা তা’লার সাথে জীবন্ত সম্পর্ক স্থাপন করা।’


    সবশেষে হুযূর স্মৃতিচারণ করেন জনাব গোলাম মোস্তফা সাহেবের, যিনি প্রাইভেট সেক্রেটারী অফিসের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন; গত ২৫ এপ্রিল ৬৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ। তিনি ১৯৮৩ সালে তৃতীয় খিলাফতের যুগে বয়আত গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে লন্ডনে আসেন এবং ওয়াক্‌ফের জন্য আবেদন করেন; তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব কম হওয়ায় ওয়াক্‌ফের আবেদন গৃহীত হয় নি, কিন্তু তিনি সারাজীবন একজন ওয়াক্‌ফে যিন্দেগীর মতই সেবা করে গিয়েছেন। প্রথমে পাকশালাতে সেবা করেছেন; খলীফাতুল মসীহ্ রাবে (রাহে.) ১৯৯৩ সালে তাকে পিএস দপ্তরে কাজ দেন, তখন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দপ্তরে সেবা করে গেছেন। এমনকি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রয়োজনে যদি তার অন্যত্র বা বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হত, কিংবা লম্বা সময়ের জন্য অফিসে আসতে অপারগ হতেন, তাহলে নিয়মিত ছুটির জন্য আবেদন করতেন। তিনি আল্লাহ্‌র সাথে ওয়াক্‌ফের যে অঙ্গীকার করেছিলেন, সেই অঙ্গীকার পূরণ করে গিয়েছেন; আর নিজেও বলতেন, ‘ওয়াক্‌ফের আবেদন গ্রহীত না হলেও আমি নিজেকে ওয়াক্‌ফে যিন্দেগী-ই মনে করি।’ আহমদী হওয়ার পর আল্লাহ্ তা’লার কাছে দোয়া করেছিলেন- হে আল্লাহ্! আমি পিতার উত্তরাধিকার থেকে কিচ্ছু নেব না; তুমি আমার প্রয়োজন পূরণ কর’। বলতে গেলে নিঃস্ব ও কপর্দকশূন্য অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু আল্লাহ্ তা’লা তার সম্পদে অনেক বরকত দান করেছেন; আল্লাহ্‌র কৃপায় তার ব্যবসা বিস্তৃত হয়েছে এবং প্রচুর ধন-সম্পদ তিনি অর্জন করেছেন। কিন্তু সে সম্পদ জামাত ও দরিদ্রদের সেবায় ব্যয় করেছেন; নিজের খরচের বেলায় কৃচ্ছ্বতাসাধন করতেন, অপরের প্রয়োজনে ছিলেন মুক্তহস্ত। তিনি স্ত্রী ছাড়াও দুই কন্যা ও এক পুত্র রেখে গিয়েছেন। বয়আতের পর এই অঙ্গীকার করেছিলেন যে, ‘যুগ-খলীফা যখন যেখানে থাকবেন, আমিও সেখানে তার নিকটে থাকব।’ এরই ধারাবাহিকতায় লন্ডনে আসেন ও বর্তমানে টিলফোর্ডে অবস্থান করছিলেন। খিলাফতের জন্য উৎসর্গিতপ্রাণ এক সেবক ছিলেন। অ-আহমদী আত্মীয়দের সবসময় আর্থিক সহায়তা করতেন, তাদের তবলীগ করতেন। জলসার অতিথিদের সেবার জন্য পাগল ছিলেন, সবসময় নিজের বাড়ি অতিথিদের জন্য ছেড়ে দিতেন, তাদের উত্তমরূপে আতিথেয়তা করতেন। কাদিয়ানে অনেকবার গিয়েছেন, সেখানে বাড়ি বানানোর শখ ছিল; বাড়ি বানিয়েছেন এবং তা জামাতকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিয়েছেন। অনেকবার উমরাহ্ করার পাশাপাশি ২০১০ সালে হজ্জব্রত পালনেরও সৌভাগ্য লাভ করেন। করোনায় আক্রান্ত হবার পরও খুব সাহসিকতার সাথে তা মোকাবিলা করেছেন।


    হুযূর দোয়া করেন- আল্লাহ্ তা’লা সকল মরহুমের পদমর্যাদা উন্নত করুন, তারা যে বিশ্বস্ততা আল্লাহ্ তা’লা ও ধর্মের সাথে প্রদর্শন করেছেন এবং যেভাবে নিজেদের বয়আতের অঙ্গীকার পূরণের চেষ্টা করেছেন- আল্লাহ্ তা’লা তার চাইতেও বেশি তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করুন। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) যেমনটি বলেছেন,- এরা শহীদদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত! আল্লাহ্ তা’লা তাদের সন্তানদেরকেও স্বীয় নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আশ্রয় দিন এবং মরহুমদের সৎকর্মগুলো আত্মস্থ করার ও চলমান রাখার সৌভাগ্য দান করুন; তারা আল্লাহ্ তা’লার সাথে সম্পর্ক-স্থাপনকারী হোন, জামাত ও খিলাফতের প্রতি নিষ্ঠাবান হোন, তাদের পিতা-মাতারা তাদের জন্য যে দোয়া করেছেন- আল্লাহ্ তা’লা তা তাদের অনুকূলে গ্রহণ করুন, আমীন।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা