সারমর্ম
এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।
আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ১৭ই এপ্রিল, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় পূর্বের ধারা অনুসরণে নিষ্ঠাবান বদরী সাহাবীদের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ খুতবায় তিনি হযরত মুআয বিন হারেস (রা.)’র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর হুযূর (আই.) বলেন, বদরী সাহাবীদের মধ্য থেকে আজ আমি হযরত মুআয বিন হারেস (রা.)’র স্মৃতিচারণ করব। তিনি আনসারদের খাযরাজ গোত্রের বনু মালেক বিন নাজ্জার শাখার সদস্য ছিলেন। তার পিতার নাম হারেস বিন রিফাআ এবং মায়ের নাম ছিল আফরা বিনতে উবায়েদ। হযরত মুআওভেয ও হযরত অওফ তার ভাই ছিলেন; তারা তিন ভাই তাদের পিতা ছাড়া মায়ের নামেও পরিচিত হতেন আর তাদেরকে বনু আফরাও বলা হতো। তারা তিন ভাই-ই বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন; হযরত অওফ ও মুআওভেয বদরের যুদ্ধে শহীদ হন, তবে হযরত মুআয পরবর্তী অন্যান্য যুদ্ধেও মহানবী (সা.)-এর সহযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এক বর্ণনামতে হযরত মুআয বিন হারেস ও হযরত রা’ফে বিন মালেক একেবারে প্রথমদিকের সেই আনসারদের অন্যতম, যারা মহানবী (সা.) মক্কায় অবস্থানকালেই ঈমান এনেছিলেন এবং মুআয সেই আটজন আনসারদের একজন যারা আকাবার প্রথম বয়আতে অংশগ্রহণ করেন; তিনি আকাবার দ্বিতীয় বয়আতেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। হযরত মা’মার বিন হারেস যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনায় আসেন তখন মহানবী (সা.) তার ও হযরত মুআযের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন স্থাপন করেন।
বদরের যুদ্ধের দিন যে নবীন আনসারীদের হাতে কুরাইশ নেতা আবু জাহল নিহত হয়েছিল, তাদের একজন ছিলেন, হযরত মুআয বিন হারেস (রা.)। সহীহ্ বুখারীতে এ সংক্রান্ত যে বর্ণনা রয়েছে, হুযূর তা সবিস্তারে উদ্ধৃত করেন। হযরত আব্দুর রহমান বিন অওফ (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, বদরের যুদ্ধের দিন তিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং নিজের ডানে-বামে তাকিয়ে নবীন দুই আনসারকে দেখতে পেয়ে ভাবেন- ‘ইস, আমি যদি এদের চেয়ে যুবক ও বলবানদের মাঝে থাকতাম!’ ইতোমধ্যেই তাদের একজন তাকে কনুইয়ে খোঁচা মেরে জিজ্ঞেস করে, ‘চাচা, আপনি আবু জাহলকে চেনেন?’ আব্দুর রহমান পরম বিষ্ময়ের সাথে জানতে চান, ‘ভাতিজা, তাকে তোমার কী দরকার?’ সেই নবীন বলে, ‘কারণ সে মহানবী (সা.)-কে গালি দেয়। আল্লাহ্র কসম! যদি আমি তাকে দেখতে পাই, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার ওপর থেকে আমার দৃষ্টি সরবে না, যতক্ষণ না আমাদের দু’জনের মধ্যে একজন মারা যায়।’ আব্দুর রহমান অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে তার কথা শুনছিলেন, ইতোমধ্যে অপর পাশে থাকা নবীন বালকও তাকে অনুরূপ প্রশ্ন করে। অতঃপর তিনি (রা.) আবু জাহলকে দেখিয়ে দেয়া মাত্রই তারা কালবিলম্ব না করে ছুটে গিয়ে আবু জাহলকে আক্রমণ করে বসে। তাদের আকস্মিক আক্রমণের ধাক্কা আবু জাহল সামলাতে পারে নি, সে গুরুতর আহত হয় এবং যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে থাকে। নবীন আনসার দু’জন ছুটে গিয়ে মহানবী (সা.)-কে এই সুসংবাদ দেয়। মহানবী (সা.) তাদের প্রশ্ন করেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে তাকে হত্যা করেছ?’ দু’জনই হত্যা করার দাবী করলে মহানবী (সা.) তাদের উভয়ের তরবারি দেখেন এবং বলেন, ‘তোমরা দু’জনেই তাকে হত্যা করেছ।’ তারা দু’জন ছিলেন মুআয বিন আফরা এবং মুআয বিন আমর বিন জামূহ। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, বদরের যুদ্ধের পর হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন মাসঊদ মহানবী (সা.)-এর নির্দেশে আবু জাহলের সন্ধানে বের হন এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রণক্ষেত্রে ভূপাতিত দেখতে পান, এরপর তিনি আবু জাহলের ধড় থেকে মস্তক ছিন্ন করেন। আবু জাহল নিজেই তাকে অনুরোধ করেছিল যেন আব্দুল্লাহ্ তার যন্ত্রণার অবসান ঘটান, তবে সে নিজের সম্মান রক্ষার্থে তার গলা একটু লম্বা রেখে কাটার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু আব্দুল্লাহ্ বিন মাসঊদ (রা.) তার শেষ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতে না দিয়ে থুঁতনি বরাবর তার গলা কেটে ফেলেন। সহীহ্ মুসলিমের বর্ণনানুসারে আফরার দু’ছেলে অর্থাৎ মুআয ও মুআওভেয আবু জাহলকে হত্যা করেন। যাহোক, হত্যাকারীদের নাম নিয়ে মতভেদ সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে, তা-ও হুযূর তুলে ধরেন। খুব সম্ভব মুআযের আক্রমণের পর তার ভাই মুআওভেযও আবু জাহলকে আঘাত করেছিলেন; আবার এ-ও হতে পারে, মুআয বিন হারেস ও মুআয বিন আমর বিন জামূহ দুধভাই ছিলেন বা মায়ের দিক থেকে সৎভাই ছিলেন।
রুবাইয়া বিনতে মুআওভেয বলেন, আমার চাচা মুআয বিন আফরা কিছু তাজা খেজুর আমার হাতে দিয়ে মহানবী (সা.)-এর সমীপে প্রেরণ করেন; তখন মহানবী (সা.) আমাকে দামী একটি অলংকার উপহার দেন যা বাহরাইনের শাসনকর্তার পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ তাঁর কাছে এসেছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হযরত মুআয চারটি বিবাহ করেছিলেন; প্রথম স্ত্রী হাবীবা বিনতে কায়েস- যার গর্ভে পুত্র উবায়দুল্লাহ্র জন্ম হয়; দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন, উম্মে হারেস বিনতে সাবরা- যার গর্ভে হারেস, অওফ, সালমা, উম্মে আব্দুল্লাহ্ ও রামলা জন্ম নেন; তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন, উম্মে আব্দুল্লাহ্ বিনতে উমায়ের- যার গর্ভে ইব্রাহীম ও আয়েশার জন্ম হয়; চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন, উম্মে সাবেত রামলা বিনতে হারেস- তার গর্ভে সারাহ্ জন্মগ্রহণ করেন। আল্লামা ইবনে আসীর রচিত উসতুল গাবাহ্’তে তার মৃত্যু সম্পর্কে প্রচলিত বিভিন্ন মতামত বর্ণিত হয়েছে। একটি বর্ণনামতে বদরের যুদ্ধে তিনি আহত হন এবং মদীনায় ফেরার পরই তার মৃত্যু হয়, অপর এক বর্ণনায় হযরত উসমান (রা.)’র খিলাফতকাল পর্যন্ত তার জীবিত থাকার কথা জানা যায়। আরেক বর্ণনামতে তিনি হযরত আলী (রা.)’র খিলাফতকাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন এবং সিফ্ফীনের যুদ্ধে হযরত আলী (রা.)’র পক্ষে লড়াই করে শাহাদত বরণ করেন, যা ৩৬ ও ৩৭ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল; তার সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রী’দের বিবরণ থেকেও এটি-ই মনে হয় যে, তিনি দীর্ঘায়ু লাভ করেছিলেন।
সাহাবীদের স্মৃতিচারণ শেষে হুযূর জামাতের একজন একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সেবক শ্রদ্ধেয় মুন্সী ফিরোয দ্বীন সাহেবের পুত্র শ্রদ্ধেয় রানা নঈম উদ্দীন সাহেবের স্মৃতিচারণ করেন, যিনি গত ১৯শে এপ্রিল, ২০২০ তারিখে পরলোকগমন করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন; বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে যে, হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তার বলেছেন, ‘তার অন্তিম সময় এসে গেছে’, কিন্তু তারপরও আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। সুস্থ হয়ে যখনই চলৎশক্তি ফিরে পেতেন, তখনই মসজিদে আসতে আরম্ভ করতেন। নথিপত্র অনুযায়ী তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাদের বংশে আহমদীয়াতের সূচনা হয়েছিল তার শ্রদ্ধেয় পিতা ফিরোয দ্বীন সাহেবের মাধ্যমে, যিনি ১৯০৬ সালে পত্রের মাধ্যমে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর হাতে বয়আত গ্রহণ করেছিলেন। দেশ-বিভাগের পর তার পরিবার পাকিস্তানে হিজরত করেন। ১৯৪৮ সালে রানা সাহেব রাবওয়ায় চলে আসেন ও ফুরকান ব্যাটালিয়নে যোগ দেন। পরবর্তীতে হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.) রানা সাহেবকে মিরপুর-খাসের কাছে অবস্থিত জামাতের জমিজমা দেখাশোনার দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। তিনি অনেক পুরোনো একজন মূসী ছিলেন অর্থাৎ, ১৯৫১ সালে তিনি ওসীয়্যত করেন। তার সহধর্মীনি সারাহ্ পারভীন সাহেবা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সাহাবী চৌধুরী দৌলত খান সাহেব (রা.)’র পৌত্রি ছিলেন। ১৯৫৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৫৯ সালের ১১ই মে পর্যন্ত তিনি খলীফার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যখন হযরত খলীফাতুল মসীহ্ সানী (রা.) তফসীর প্রণয়নের কাজে ‘নাখলা জাবা’য় যেতেন ও কয়েক মাস পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতেন, মরহুমও তখন সেখানে হুযূরের নিরাপত্তা ও জেনারেটরের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৭৮ সালে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত হন, এরপর সাহীওয়াল জেলার হরপ্পায় চলে যান ও সাহীওয়াল মসজিদের খাদেম হিসেবে সেবা করতে আরম্ভ করেন। সেখানে থাকাকালীন ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে সাহীওয়ালের আহমদীয়া মসজিদে বিরুদ্ধবাদী দাঙ্গাবাজরা আক্রমণ করে, নিরাপত্তা রক্ষী হওয়ায় সুবাদে রানা সাহেব আক্রমনকারীদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এজন্য রানা নঈম উদ্দীন সাহেবসহ মোট এগারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং তিনি ১৯৮৪ সালের ২৬শে অক্টোবর থেকে ১৯৯৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সাড়ে নয় বছর আল্লাহ্র রাস্তায় বন্দী থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন। এই মামলাটি জিয়াউল হকের আমলের বিশেষ সামরিক আদালতে পরিচালিত হয় এবং বারংবার বিভিন্নভাবে রানা সাহেবের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় যেন তিনি এর দায় খলীফার ওপর চাপিয়ে দেন। এই উদ্দেশ্যে তাদেরকে চরম নির্যাতনও করা হতো, কিন্তু তিনি সর্বদা পরম ধৈর্যের সাথে সব নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং কখনো সাহস বা মনোবল হারান নি; বরং অন্যদেরকে সাহস ও মনোবল যোগাতেন। ১৯৯৪-এ মুক্তিলাভের পর তিনি লন্ডন চলে আসেন এবং এখানেও তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ২০১০-এ তার বড় কন্যা ও সহধর্মিনী মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম শোকসন্তপ্ত পরিবারে এক পুত্র ও চার কন্যা রেখে গিয়েছেন। তার পুত্র রানা ওয়াসিম আহমদ একজন ওয়াকেফে যিন্দেগী, যিনি প্রাইভেট সেক্রেটারীর দপ্তরে সেবা করছেন। মরহুম একবার তার ছেলেকে বলেন, আমি যখন ডিউটিতে গিয়ে খলীফা হুযূরকে দেখি, তখনই আমার দেহ-মন চনমনে হয়ে উঠে; এটিই আমার সুস্বাস্থ্যের রহস্য। তার অসুখ-বিসুখ এবং বার্ধক্য সত্ত্বেও তাকে এতটা শক্ত-সমর্থ দেখে ডাক্তারও যারপরনাই অবাক হতেন। তার ছেলে বলেন, আমি তাকে মালিশ করতাম, একদিন হাঁটুর কাছে মালিশ করতে গেলে তিনি হঠাৎ গুঙিয়ে ওঠেন। আমি জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যেতে চান; অনেক জোরাজুরির পর বলেন, এটি জেলে থাকাকালীন নির্যাতনের আঘাত। নিজের আনন্দ অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতেন, কিন্তু দুঃখের কথা কাউকে বলতেন না। পুত্রবধূকে নিজ কন্যাদের চেয়েও অধিক স্নেহ করতেন। খিলাফতের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল ঈর্ষণীয়। তিনি বলতেন, খলীফার দোয়ার বরকতেই আমি জেলে ছিলাম, আর খলীফার দোয়ার কল্যাণেই আজ এখানে আছি। হুযূর (আই.) স্বয়ং তাকে ছোটবেলা থেকে চিনতেন এবং তার অসাধারণ গুণাবলীর প্রশংসা করেন। হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা পরকালেও তার প্রতি দয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করুন এবং তাকে নিজ প্রিয়দের সান্নিধ্যে রাখুন। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তার জানাযা হুযূর পড়াতে পারেন নি, পরবর্তীতে সুবিধাজনক কোন সময়ে তার গায়েবানা জানাযা পড়াবেন বলে তিনি জানান। সবশেষে হুযূর সাম্প্রতিক মহামারীর প্রেক্ষিতে পুনরায় দোয়ার কথা স্মরণ করান। যেসব আহমদী করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের পূর্ণ আরোগ্যের জন্য দোয়ার তাহরীক করেন। হুযূর বলেন, আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকেও তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দান করুন, আমাদেরকে প্রকৃত অর্থে আল্লাহ্ ও বান্দার প্রতি কর্তব্য পালন করার তৌফিক দিন এবং এই বিপদ দ্রুত দূর করুন; আল্লাহ্ তা’লা পৃথিবীবাসীকেও সুবুদ্ধি দান করুন, তারাও যেন এক-অদ্বিতীয় আল্লাহ্কে চিনতে পারে, তাঁর ইবাদতকারী হতে পারে, আল্লাহ্র একত্ববাদ বুঝতে পারে; আল্লাহ্ তা’লা সবার প্রতি কৃপা করুন। (আমীন)