সারমর্ম
এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।
আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৮শে আগস্ট, ২০২০ ইসলামাবাদের মসজিদে মুবারকে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় মুহররম মাসের প্রেক্ষাপটে আল্লাহ্র প্রেরিত ন্যায়বিচারক ও মীমাংসাকারী ন্যায় বিচারক প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহদী (আ.) কীভাবে খোলাফায়ে রাশেদীন ও আহলে বাইতকে কেন্দ্র করে শিয়া-সুন্নীদের মধ্যকার মতভেদের মীমাংসা করেছেন-এর সম্পর্কে খুতবা প্রদান করেন।
হুযূর (আই.) তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর বলেন, এ যুগে আল্লাহ্ তা’লা স্বীয় প্রতিশ্রুতি ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তাঁর দাসত্বে যুগ-ইমাম প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও মাহদী (আ.)-কে ‘হাকাম ও আদল’ তথা ন্যায়বিচারক ও মীমাংসাকারীরূপে প্রেরণ করেছেন। তিনি এসে প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার আলোকে সব মুসলমানকে এক উম্মতে পরিণত করার কথা; বিভিন্ন দল ও ফির্কার মধ্যে প্রচলিত অপব্যাখ্যা ও বিভেদ দূর করার কথা। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, মুসলমানদের প্রত্যেক ফির্কার যারাই বিভিন্ন ফির্কার মধ্যকার বিভেদ ও অনৈক্য দেখে ব্যথিত ছিল, তারা যুক্তি, বুদ্ধি ও দোয়ার মাধ্যমে যাচাই করে সত্য জামাত চিনতে পেরেছে ও আহমদীয়াত গ্রহণ করেছে। আহমদীয়া জামা’ত কোন ফির্কার মতবাদ বা বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত জামা’ত নয়, বরং এই জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) মূলত বিভিন্ন ফির্কার মধ্যকার মতভেদ দূর করে মুসলমানদেরকে ‘এক উম্মতে’ পরিণত করার জন্য প্রেরিত হয়েছেন; আল্লাহ্ তা’লা এলহামের মাধ্যমে তাকে এই নির্দেশই প্রদান করেছেন। আর আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় বিগত ১৩০ বছর ধরে আহমদীয়া জামাত এ দায়িত্বই পালন করছে; ইমাম মাহদী (আ.)-এর তিরোধানের পর প্রতিষ্ঠিত খিলাফতও বিগত ১১২ বছর ধরে এই কাজ সম্পাদন করছে; আর শুধু মুসলমানদেরই নয়, বরং অমুসলমানদের সামনেও ইসলামের অনিন্দ্য-সুন্দর শিক্ষা তুলে ধরে তাদেরকে ইসলামের পতাকাতলে সমবেত করার চেষ্টায় ব্যাপৃত রয়েছে। তা সত্ত্বেও আহমদীয়াত অন্য মুসলমানদের পক্ষ থেকে চরম বিরোধিতা, নির্যাতন ও অকথ্য গালিগালাজের শিকার হয়; কিন্তু তবুও আমরা সবসময় শান্তি, সম্প্রীতি ও দোয়ার বার্তাই দিয়ে এসেছি, কখনোই আমাদের পক্ষ থেকে লড়াই-ঝগড়া বা গালিগালাজ করা হয় নি। যত বিরোধিতাই হোক না কেন আমরা যুগ-ইমামের বাণী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে পৌঁছাবো; কিন্তু সাধারণ সত্যাসন্ধানী মুসলমানরা, যারা ইসলামের জন্য দরদ রাখেন এবং বিভেদ-বিশৃঙ্খলা দূর করতে চান- তাদের এই বিষয়টির প্রতি মনোযোগী হওয়া দরকার। হুযূর বলেন, এখন আমরা মুহররম মাস অতিবাহিত করছি যা হিজরি সনের প্রথম মাস। ইংরেজি নববর্ষে সবাই একে অপরকে শুভেচ্ছা ও শান্তির বার্তা দেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল- ইসলাম শান্তির ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও মুহররম মাসে অনেক মুসলিম-প্রধান দেশে খুনোখুনি পর্যন্ত হয়; আর নেপথ্যেও রয়েছে সেই ফির্কাগত বিভেদ!
মহানবী (সা.) মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্ট বিভেদ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে তা দূর করার জন্য ‘খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত’-এরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর আবির্ভাবের ফলে যথাযথভাবে পূর্ণ হয়েছে। সাধারণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে হুযূর (আই.) বলেন, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত সবগুলো লক্ষ্মণ যেখানে পূর্ণ হয়েছে বা হচ্ছে, তবে কেন আমরা সেই ‘হাকাম’ ও ‘আদল’কে সন্ধান করছি না- যিনি শিয়া-সুন্নীসহ সকল ফির্কার মতভেদ দূর করে উম্মতকে এক উম্মতে পরিণত করবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে? আমরা আহমদীরা দাবীর সাথে বলছি, হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-ই আল্লাহ্র প্রেরিত সেই প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও মাহদী এবং তাঁর মাধ্যমেই ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করার ও উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে এবং তা এখনও চলমান রয়েছে। যে খিলাফতকে কেন্দ্র করে মুহররম মাসের শোকাবহ ঘটনা ঘটেছিল ও উম্মতের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছিল, আল্লাহ্ তা’লার প্রতিশ্রুত সেই খিলাফতের মাধ্যমেই ইসলাম পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হবে, ইনশাআল্লাহ্। তাই এই মাসটিকে কেবল শোক এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ ও ঘৃণার উপলক্ষ্য বানানোর পরিবর্তে পারস্পরিক শান্তি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার উপলক্ষ্য বানানো উচিত। এই মাসে সঠিক ইসলামী শিক্ষা পালনে আমাদের আরো বেশি যত্নবান হওয় উচিত এবং সেই হাকাম ও আদলের অনুসরণ করা উচিত, যিনি ইসলামের পুনর্জাগরণের জন্য প্রেরিত হয়েছেন।
হুযূর (আই.) হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর একটি উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেন যা তিনি একজন আলেমের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন এবং তাঁর অবস্থান যে আর দশজন আলেমের মত নয়, বরং তিনি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করার ও মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার ঐশী দায়িত্ব নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন- তা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি (আ.) জোরের সাথে বলেছেন, শতধা-বিভক্ত ও দলাদলিতে মত্ত উম্মত যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে গ্রহণ করছে- ততক্ষণ তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেছেন, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন ও মুসলমান হতে পারে না, যতক্ষণ না হযরত আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন)-এর আদর্শ নিজের মধ্যে ধারণ না করে; হুযূর (আই.) বলেন, এটা হল আহমদীয়া জামাতের বিশ্বাস- তাঁরা সবাই আমাদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। এমতাবস্থায় আহমদীয়া জামাত-ই কি সেই অনন্য জামাত নয়, যারা সবার মধ্যকার বিদ্বেষ দূর করে তাদেরকে ঐক্যের সুতোয় বাঁধতে পারে?
হুযূর (আই.) হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর পুস্তক ‘সিররুল খিলাফা’ থেকে বেশ কিছু উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেন এবং শিয়াদের পক্ষ থেকে যে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)সহ প্রথম তিনজন খলীফার অমর্যাদা ও তাদের প্রতি বিদ্বেষ প্রদর্শিত হয়, এর প্রত্যুত্তরে খোলাফায়ে রাশেদীনের যে অত্যুচ্চ ও অতুলনীয় মর্যাদা তিনি (আ.) বর্ণনা করেছেন- তা তুলে ধরেন। তিনি (আ.) হযরত আবু বকর (রা.) সম্পর্কে লিখেছেন যে, তিনি সর্বদা মহানবী (সা.)-এর ছায়ায় চলেছেন ও থেকেছেন; তিনি ইসলামের জন্য দ্বিতীয় আদমস্বরূপ ছিলেন। তিনি (আ.) আরও লিখেছেন, যদি মহানবী (সা.)-এর তিরোধানকালে হযরত আবু বকর (রা.) না থাকতেন, তবে ইসলামও হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যেতো; কিন্তু আল্লাহ্ তা’লার অপার কৃপা যে, তিনি হযরত আবু বকর (রা.)-কে সেই কঠিন সময়ে দাঁড় করিয়েছেন এবং তাঁর মাধ্যমে পতনোন্মুখ ইসলামকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন ও শত্রুদেরকে পরাভূত করেছেন। আর আয়াতে ইস্তেখলাফে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিতে আল্লাহ্র প্রতিষ্ঠিত খিলাফতের মাধ্যমে যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা- তার সুস্পষ্ট প্রমাণ হল হযরত সিদ্দীকের খিলাফত। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) হযরত উমর ফারুক (রা.) ও যুন্নুরাঈন হযরত উসমান (রা.)-এর অতুলনীয় মর্যাদা, ইসলাম-সেবা ও ইসলামের জন্য আত্মত্যাগের কথাও এই পুস্তকে তুলে ধরেছেন, যার অংশবিশেষ হুযূর (আই.) উদ্ধৃত করেন। তিনি (আ.) হযরত আলী (রা.)-এর অতুলনীয় মর্যাদা ও ইসলাম-সেবার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, হযরত আলী (রা.) আল্লাহ্র সিংহ ছিলেন; বীরত্বের সাথে বিনয়ের এক আশ্চর্য মিশ্রণ ছিলেন তিনি। তিনি (আ.) শিয়াদের অপবাদ খণ্ডন করে লিখেছেন, নিঃসন্দেহে হযরত আলী (রা.) অতুলনীয় আদর্শ ছিলেন, কিন্তু তাঁর খিলাফতকালে বিদ্রোহ ও বিশৃঙ্খলা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, বিভেদের সৃষ্টি হয়েছিল। হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) হযরত আলী সম্পর্কে যা বলেছেন, তাত্থেকে এই বিষয়টি একেবারে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, অবশ্যই আলী (রা.) সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, কিন্তু এটিও সত্য যে প্রথম তিন খলীফাও অতি অবশ্যই সত্য খলীফা ছিলেন।
হুযূর (আই.) বলেন, হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) আমাদেরকে তাঁদের যে মর্যাদা শিখিয়েছেন, সেটি প্রদান করলেই আমরা খাঁটি মুসলমান হতে পারব, নতুবা নয়। আর যদি তা না করি, তবে উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে; আর এই বিভেদের ফলে ইসলামের কোন লাভ না হলেও ইসলামের শত্রুদের অবশ্যই লাভ হবে এবং তা হচ্ছেও বটে!
হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) ‘সিররুল খিলাফা’ পুস্তকে তাঁর দেখা একটি দিব্যদর্শনের কথা লিপিবদ্ধ করেছেন, যাতে তিনি মহানবী (সা.), হযরত আলী, ইমাম হাসান ও হুসাইন (রা.) এবং হযরত ফাতেমা (রা.)’র সাথে সাক্ষাতের উল্লেখ করেছেন। হযরত আলী (রা.) তাঁকে নিজের একটি তফসীর উপহার দেন এবং হযরত ফাতেমা (রা.) মমতাময়ী মায়ের মত তার প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করেন; হযরত হাসান ও হুসাইন (রা.)-ও তাঁর প্রতি ভ্রাতৃসুলভ ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। এভাবে আহলে বাইতের প্রতি হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। তবে এই ভালোবাসা কেবল তার লেখনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং কার্যতঃ আহলে বাইতের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। একবার আশুরার দিন তিনি (আ.) বাগানে বসে তার স্নেহের পুত্র-কন্যা সাহেবযাদি মোবারকা বেগম সাহেবা ও সাহেবযাদা মির্যা মোবারক আহমদ সাহেবকে ডেকে মুহররমের মর্মন্তুদ কাহিনী শোনান। ইমাম হুসাইনের শাহাদতের মর্মান্তিক কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে তাঁর চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছিল। তিনি (আ.) ইয়াযিদ সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন যে, ‘এযীদ পলীদ’ অর্থাৎ ইয়াযিদ এক নোংরা-হৃদয়ের মানুষ ছিল। এছাড়া একবার যখন তিনি (আ.) জানতে পারেন যে, কোন এক শিয়ার উদ্ধৃত বাক্যের বিপরীতে একজন আহমদী না জেনে-বুঝে ইমাম হুসাইন (রা.) সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছে যে, হুসাইন (রা.) কার্যতঃ খলীফার বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন- তখন তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হন এবং অত্যন্ত কঠোর ভাষায় এই ভ্রান্তির অপনোদন করেন। শিয়া এবং সুন্নীরা যেখানে যেখানে সীমালঙ্ঘন করেছে, তিনি (আ.) তাদের সংশোধন করতে বলেছেন; আর এটিই ন্যায়বিচারকের কাজ। হাকাম ও আদল হিসেবে আল্লাহ্ প্রদত্ত দায়িত্ব তিনি যথার্থরূপে পালন করেছেন।
খুতবার শেষদিকে হুযূর (আই.) বলেন, আমাদের উচিত মুহররম মাস উপলক্ষ্যে এবং পাকিস্তান ছাড়াও যেসব স্থানে আহমদীয়াতের বিরোধিতা তীব্র আকার ধারণ করেছে- একে দৃষ্টিপটে রেখে অনেক বেশি দোয়া করা এবং অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করা। আমরা যতই আল্লাহ্র দরবারে বিনত হব, আল্লাহ্ তা’লা তত দ্রুত আমাদেরকে বিজয় দান করবেন, সাফল্যমণ্ডিত করবেন। হুযূর আরও বলেন, এই দিনগুলোতে অ-আহমদী মুসলমানদের জন্যও বিশেষভাবে দোয়া করুন, কিছু মুসলমান ফির্কা অন্য ফির্কার মুসলমানদের হত্যা করতে উদগ্রীব হয়ে থাকে এবং মুহররম মাসে বিভিন্ন স্থানে শিয়াদের তাজিয়া মিছিল ইত্যাদিতে আক্রমণ হয়, ইসলামের দোহাই দিয়েই এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে শহীদ করে; আল্লাহ্ তা’লা মুসলমানদের বিবেক-বুদ্ধি দিন যাতে অন্ততপক্ষে এই বছর এমন কোন দুঃসংবাদ আমাদের শুনতে না হয়। আর মুসলমানরা যেন এই সত্যটি উপলদ্ধি করতে সক্ষম হয় যে, আল্লাহ্ তা’লা ইসলামের বিজয় হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সঙ্গেই নির্ধারণ করে রেখেছেন, তাই তাঁর হাতে বয়আত করার মধ্যেই জগদ্বাসীর সফলতা নিহিত। আল্লাহ্ তা’লা তাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করুন। (আমীন)