بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
২৫ মে, ২০১৮
খিলাফত: আল্লাহ্‌র এক অপার করুণা এবং আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
মসজিদ বাইতুল ফুতুহ্, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ২৫শে মে, ২০১৮ইং লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত জুমুআর খুতবায় খিলাফতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

    হুযূর (আই.) তাশাহহুদ, তাআ’ব্বুয ও সূরা ফাতিহা পাঠের পর সূরা নূরের ৫৬-৫৭ নং আয়াত পাঠ করেন; এর অনুবাদ হল, “তোমাদের মাঝে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ্ তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই পৃথিবীতে তাদের খলীফা বানাবেন, যেভাবে তিনি তাদের পূর্ববর্তীদের খলীফা বানিয়েছিলেন। আর অবশ্যই তিনি তাদের জন্য তাদের ধর্মকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিবেন যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়ভীতির অবস্থার পর অবশ্যই তিনি তা নিরাপত্তায় বদলে দিবেন। তারা আমার ইবাদত করবে, আমার সাথে কাউকে শরীক সাব্যস্ত করবে না। আর এরপরও যারা অকৃতজ্ঞ হবে- তারাই দুষ্কৃতকারী। আর তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং এ রসূলের আনুগত্য কর যেন তোমাদের ওপর কৃপা করা যায়।”

    হুযূর (আই.) বলেন, এ আয়াত দু’টিতে আল্লাহ্ তা’লার একটি মহান প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট হওয়া দরকার, এখানে আল্লাহ্ তা’লা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যদি এমনটি হয় তবে তিনি তোমাদের পুরস্কৃত করবেন, আর তা খিলাফতের পুরস্কার; এর দ্বারা তোমরা সুপ্রতিষ্ঠিতও হবে আর ভয়ভীতির পর নিরাপত্তাও লাভ করবে। এটি একটি প্রতিশ্রুতি, এটি কোন ভবিষ্যদ্বাণী নয়; তিনি অবশ্যই এটি দান করবেন, কিন্তু তাদেরকে দান করবেন যারা এই প্রতিশ্রুতির সাথে বর্ণিত শর্তাবলী পূর্ণ করবে। আল্লাহ্ তা’লার বাণী অনুসারে সেই শর্তগুলো হল, ‘তারা আমার ইবাদত করবে, সম্পূর্ণরূপে শিরক পরিহার করবে’; যদি এমনটি না হয় তাহলে খিলাফত বিদ্যমান থাকলেও তারা তাত্থেকে উপকৃত হতে পারবে না।

    হুযূর (আই.) বলেন, পবিত্র কুরআন ও হাদীসে নবুওয়তের পদ্ধতিতে খিলাফতের ধারা সূচিত হবার কথা উল্লেখ রয়েছে, আর হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-ও তাঁর তিরোধানের পর খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবার কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে আল্লাহ্ তা’লা খিলাফতের নিয়ামতে ভূষিত করবেন। কিন্তু আল্লাহ্ তা’লা উপরোক্ত আয়াতগুলোতে মুসলমানদেরকে এটিও স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, সেই পুরস্কার পেতে হলে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করতে হবে; কেবলমাত্র নামের মুসলমান হওয়া বা বাহ্যিকভাবে ঈমানের ঘোষণা দেয়া তাদেরকে এই পুরস্কারের যোগ্য বানাবে না। আর খিলাফতের নিয়ামত পেলেই হবে না বরং প্রকৃতপক্ষে এর থেকে তারাই লাভবান হবে যারা সত্যিকার অর্থে খোদার ইবাদতকারী এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করা হতে বিরত। আর এ কাজ করার জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য কি তা আল্লাহ্ তা’লা এর পরের আয়াতেই বলে দিয়েছেন, অর্থাৎ, ইবাদত প্রতিষ্ঠা করতে হলে আর শির্‌ক মুক্ত থাকতে হলে নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত প্রদান কর ও রসূলের আনুগত্য কর, তাহলে পরে তোমরা আল্লাহ্‌র কৃপা লাভ করতে পারবে এবং সত্যিকার অর্থেই খিলাফতের কল্যাণে কল্যাণমণ্ডিত হতে পারবে।

    এরপর হুযূর কুরআন হাদীস ও মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর লেখার আলোকে ইবাদতের গুরুত্ব, শিরক মুক্ত থাকার উপায়, যাকাতের ফযিলত এবং রসূলের আনুগত্যের আবশ্যকতা সম্পর্কে হুযূর বিশদ আলোচনা করেন।

    হুযূর (আই.) জামাতকে স্মরণ করান যে, আনুগত্য বিষয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার নিযুক্ত আমীরের আনুগত্য করে সে আমার আনুগত্য করে, আর যে আমার নিযুক্ত আমীরের আনুগত্য করে না সে আমারও আনুগত্য করে না’; খলীফা তো মহানবী (সা.) কর্তৃক নিযুক্ত আমীরের মধ্যে সবার শীর্ষে, তাই খিলাফতের আনুগত্যও ঠিক সেভাবেই আবশ্যক যেভাবে মহানবী (সা.)-এর আনুগত্য করা আবশ্যক। কিন্তু এখানে জাগতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া খিলাফতের কথা বলা হয় নি, বরং নবুওয়তের পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত খিলাফতের কথা বলা হয়েছে। আর মহানবী (সা.) স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর আগমনের মাধ্যমে সেই খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। আর সেই খিলাফত কোন প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ বা অত্যাচার-নির্যাতন চালাবে না, বরং তা নামায প্রতিষ্ঠা ও যাকাত প্রদান তথা আর্থিক কুরবানীর ব্যাপারে নির্দেশ দেবে। একইভাবে রসূলের আনুগত্যের আরেকটি উদ্দেশ্য হল, সবাইকে এক সূত্রে গেঁথে দেয়া, এটিও ঐশী খিলাফত ছাড়া সম্ভব নয়। অন্যান্য মুসলমানরাও নামায পড়ে, কিন্তু ঐক্য না থাকার কারণে তারা তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত।

    হুযূর কিছুদিন পূর্বে পাকিস্তানে এ রকম দু’দল ওলামার বিবাদের উল্লেখ করেন ও বলেন, এরা কীভাবে ইসলামের প্রতিষ্ঠার কারণ হতে পারে? হুযূর বলেন, কোন কোন আলেম তো এ কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করে যে, খিলাফত প্রয়োজন, কিন্তু যখন ঐশী প্রতিশ্রুতি অনুসারে প্রতিষ্ঠিত আহমদীয়া খিলাফতের প্রতি আহ্বান করা হয়, তখন তা মান্য করা তো দূরে থাক, তারা এর চরম বিরোধিতা আরম্ভ করে।

    হুযূর দু’দিন পূর্বে শিয়ালকোটে প্রসাশন ও মোল্লাদের যোগসাজশে আহমদীদের শতবর্ষ পুরনো মসজিদ ও এর সংলগ্ন মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত একটি বাড়ি শহীদ করার ঘটনার উল্লেখ করেন। এরা নিজেরা তো মসজিদে বসে ঝগড়া-ঝাঁটি করে এর পবিত্রতা নষ্ট করছেই; এখন আহমদীদের মসজিদ, যেগুলো কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে নির্মিত, সেগুলোকে ধ্বংস করে অপবিত্র করতেও দ্বিধা করছে না। এরা যতক্ষণ মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে প্রতিষ্ঠিত খিলাফতের আনুগত্য না করবে, ততক্ষণ এমনটিই করতে থাকবে, এর চেয়ে ভাল কিছু তাদের কাছ থেকে আশা করা যায় না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমাদের দুঃখ হয়, আর এর বিচারের ভার আমরা আল্লাহ্‌র হাতেই ছেড়ে দেই; কিন্তু হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সাথে গভীর সম্পর্কের দাবী কেবল এসব স্থাপনার সুরক্ষার জন্য উদ্বেগ প্রকাশেই ফলেই না, বরং তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করা, তাঁর পরে প্রতিষ্ঠিত খিলাফতের আনুগত্য, নিজেদের ইবাদতের মানকে উন্নত করা- এসবের মাধ্যমে হয়, তাই এগুলো অর্জনের জন্য আমাদের আরো সচেষ্ট হতে হবে।

    হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে একজন প্রশ্ন করেন, খলীফার আসার উদ্দেশ্য কী? তিনি (আ.) উত্তর দেন, ‘সংশোধন’। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে যখনই মানবজাতি সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই আল্লাহ্ তা’লা তাঁর পক্ষ থেকে প্রেরিত কোন মহাপুরুষের মাধ্যমে তাদেরকে সুপথে ফিরিয়ে এনেছেন। এটিই আল্লাহ্‌র চিরন্তর রীতি, আর এ রীতির আলোকেই আমাদের এই জামাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    এখানে হুযূর (আই.) বিশেষভাবে এ কথাটির উপর জোর দেন এবং বলেন, মসীহ্ মওউদ (আ.)-কে মানার পরও আমরা যদি নিজেদের মাঝে এরূপ পরিবর্তন ও সংশোধন না করি তবে তা খুবই চিন্তার বিষয়।

    এরপর হুযূর খিলাফতের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর অর্থাৎ নামায প্রতিষ্ঠা, যাকাত প্রদান ও আনুগত্য বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। নামায সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে, যার এই হিসাব ঠিক থাকবে সে মুক্তি পাবে, যার ঠিক থাকবে না সে ব্যর্থ হবে- নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। যদি কারো ফরয নামাযে ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে আল্লাহ্ তা পূরণের জন্য তার নফল নামাযের সাহায্য নিবেন। কাজেই, ফরযের পাশাপাশি নফল নামাযের প্রতিও মনোযোগী হোন। এখন রমযান মাস হওয়ায় যদিও সবাই নামাযের প্রতি মনোযোগী, কিন্তু আল্লাহ্ তো কেবল রমযানের নামাযের হিসেব নেবেন না, সারা জীবনের সব নামাযের হিসেব নেবেন; তাই সর্বদা বাজামাত নামায ও নফল নামাযের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া আবশ্যক। শির্‌কের ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, এটি ছাড়া আর সব পাপ আল্লাহ্ ক্ষমা করবেন, অর্থাৎ শির্‌ক ক্ষমা করবেন না। মহানবী (সা.)-এর হাদীস থেকে জানা যায়, কেবল পাথরের মূর্তি বা চাঁদ-সুরুজের পূজাই শিরক নয়, বরং গুপ্ত কামনা-বাসনা, লোক-দেখানো কাজ এবং এমন প্রত্যেক বিষয় যাকে আল্লাহ্‌র সমান গুরুত্ব দেয়া হয়- তা গুপ্ত শির্‌ক; তাই আমাদের খুব গভীরভাবে আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে, আমরা এমন শির্‌কে নিপতিত নই তো?

    তেমনিভাবে যাকাতের বিষয়েও কুরআন ও হাদীসে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, যাকাত দিয়ে নিজের সম্পদকে নিরাপদ কর, আর সদকা দিয়ে রোগের চিকিৎসা কর; এভাবে তিনি (সা.) এদিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, যাকাত যদি তোমার জন্য আবশ্যক না-ও হয়, তবুও মানবজাতির কল্যাণে সাধ্যমত আর্থিক কুরবানী কর। মসীহ্ মওউদ (আ.) কুরআনের একটি আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নামায, অযথা বা বৃথা বিষয় থেকে আত্মরক্ষা এবং আল্লাহ্‌র পথে খরচ করা- এ তিনটি বিষয় কীভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেন। একইভাবে খিলাফতের নিয়ামত লাভকারীদের আনুগত্যের মান কীরূপ হওয়া উচিত সে বিষয়েও হুযূর বিস্তারিত আলোচনা করেন।

    হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) এই স্থায়ী খিলাফতের সুসংবাদ দিতে আল্ ওসীয়্যত পুস্তিকায় বলেছেন, “কেননা তোমাদের জন্য দ্বিতীয় কুদরত (তাঁর অপার ক্ষমতার দ্বিতীয় বিকাশ)-ও দেখা আবশ্যক আর এর আগমন তোমাদের জন্য শ্রেয়। কেননা, তা স্থায়ী যার ধারাবাহিকতা কিয়ামত পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হবার নয়। আর সেই ‘দ্বিতীয় কুদরত’ আমি না যাওয়া পর্যন্ত আসতে পারে না। কিন্তু আমার চলে যাবার পর খোদা তোমাদের জন্য সেই ‘দ্বিতীয় কুদরত’-কে প্রেরণ করবেন যা চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবে। যেভাবে ‘বারাহীনে আহমদীয়ায়’ খোদার প্রতিশ্রুতি বিদ্যমান। সেই প্রতিশ্রুতি তোমাদের সাথে সম্পৃক্ত, আমার নিজের সম্বন্ধে নয়। খোদা তা’লা বলেছেন,**میں اس جماعت کو جو تیرے پیرو ہیں قیامت تک دوسروں پر غلبہ دونگا۔** (‘ম্যাঁয় ইস্ জামাতকো জো তেরে প্যায়রোঁ হ্যাঁয় কিয়ামত তাক দুসরোঁ পার গালাবা দুঁঙ্গা)’। [অর্থাৎ ‘তোমার অনুসারী এ জামাতকে আমি কিয়ামত পর্যন্ত অন্যদের উপর প্রাধান্য দিব’-অনুবাদক।] অতএব, তোমাদের জন্য আমার বিচ্ছেদ দিবস উপস্থিত হওয়া অবশ্যম্ভাবী, যেন এরপর সেই যুগ আসে যা চিরস্থায়ী প্রতিশ্রুতির যুগ। আমাদের খোদা অঙ্গীকার পূর্ণকারী, বিশ্বস্ত এবং সত্যবাদী খোদা। তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এর সবই তিনি তোমাদের পূর্ণ করে দেখাবেন। যদিও এটি পৃথিবীর শেষ যুগ আর বহু বিপদাপদ আপতিত হবারও যুগ, তথাপি খোদা যেসব বিষয় পূর্ণ হবার আগাম সংবাদ দিয়েছেন সেগুলো পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ জগত টিকে থাকতে বাধ্য। আমি খোদার পক্ষ হতে এক প্রকার কুদরত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছি বরং আমি খোদার এক মূর্তিমান কুদরত। আমার পর আরও কতিপয় ব্যক্তি আসবেন যাঁরা দ্বিতীয় কুদরতের বিকাশ হবেন।”

    হুযূর বলেন, আল্লাহ্ তা’লা আমাদেরকে এই পুরস্কার দান করেছেন ও বিগত প্রায় ১১০ বছর যাবৎ আমরা তাঁর এই কল্যাণরাজি প্রত্যক্ষ করছি। আল্লাহ্ তা’লা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর অনুসারী প্রত্যেককে এই সৌভাগ্য দিন যেন তারা আল্লাহ্ তা’লার পথনির্দেশনা অনুসরণ করে খিলাফতের কল্যাণধারা থেকে সবসময় উপকৃত হতে থাকে। হুযূর গত সপ্তাহের মত আজও পাকিস্তানের জন্য বিশেষভাবে দোয়ার কথা স্মরণ করান এবং বিশেষভাবে পাকিস্তানীদেরকে পাকিস্তানের জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ